কেবল ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়েও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের ঘটনা বিরল। আইপিএলের ক্ষেত্রে তা অবিশ্বাস্যই বলা যায়।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে লক্ষ্যটা ছিল অনায়াসে জেতার মতোই। তাড়া করতে নেমে ১৪ তম ওভারেই ১০৫ রান ছুঁয়ে ফেলে তারা, সেটাও মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। এমন অবস্থা গুজরাটের পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব কমই ছিল। কেননা জয়ের জন্য ৩৬ বলে কেবল ৩১ রানই দরকার ছিল লক্ষ্ণৌয়ের। কিন্তু ক্রিকেট যে গৌরবময় অনিশ্চিতের খেলা সেটা আবারও প্রমাণ হলো।
সহজে জেতার ম্যাচ ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেল লক্ষ্ণৌ। যেখানে জিততে হলে ১২ রান ডিফেন্ড করতে হতো গুজরাট পেসার মোহিত শর্মাকে। প্রথম বলে তার কাছে দুই রান আদায় করেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু পরের চার বলেই উইকেটের দেখা পেল গুজরাট। রাহুল ও মার্কাস স্টইনিসকে ফিরিয়ে জোড়া শিকার করেন মোহিত। এরপর রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হয় আয়ুশ বাদোনি ও দীপক হুডাকে। গুজরাটের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। শেষ বলে ১ রান নিলেও ৭ উইকেটে ১২৮ রানে থামে লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংস।
শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মোহিত। ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। দুটি উইকেট যায় আফগান স্পিনার নুর আহমেদের পকেটেও।
অটল বিহারী বাজপায়ী স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৩৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় গুজরাট। ধীরগতির উইকেটে রান করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল। তাই ক্রিজে আকড়ে থেকে ৫০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৭ রান আসে ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট থেকে। লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া ও মার্কাস স্টইনিস।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় লক্ষ্ণৌ। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক রাহুল। কিন্তু দিনশেষে বিফলে যায় তার ৬১ বলে ৮ চারে ৬৮ রানের ইনিংসটি। জয়ের খুব কাছ থেকেও পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে ফিরতে হলো তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
এএইচএস