মিরপুরে তখনও অনুশীলন শুরু করেননি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এর আগেই দুপুর বারোটায় তীব্র রোদের ভেতর হাজির হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ব্যক্তিগত দক্ষতা কীভাবে দলে অবদান রাখবে, মূলত সেটিই বোঝাবেন ব্রাউন। আপাতত দুই সপ্তাহ তার উপস্থিতি থাকবে সশরীরে। এরপর অনলাইনে এই কাজের মূল্যায়ন ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবেও কাজ করবেন তিনি।
ব্রাউন যে ধরনের কাজ করেন, সেটি ক্রিকেটে একদমই নতুন বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। মূলত আমেরিকান স্পোর্টসে যেমন- বেসবল, আইস হকিতে এসব দেখা যায় বলে জানান তিনি। ওসব খেলায় ৫০-৬০ জন সদস্য থাকেন, তারা কীভাবে দলে অবদান রাখবেন সেটিই বোঝাবেন।
ব্রাউনের কাজ নিয়ে রোববার নাফিস মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনার কাজ যেটা সেটা হচ্ছে একটা দলের ইনভায়রমেন্টে ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়ের যে কোয়ালেটি থাকে সেটা কাজে লাগানো। আমরা সবাই আলাদা, প্রতিটি খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত কিছু দক্ষতা আছে, তো এগুলোকে কীভাবে দলের ইনভায়রমেন্টে কাজে লাগানো যায় ওটা নিয়ে কাজ করছেন উনি। ’
‘প্রশ্ন থাকতে পারে ক্লাসিক্যালি স্পোর্টস সায়কোলোজিস্টের সঙ্গে পার্থক্য কী। স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট ব্যক্তিগত সমস্যা ও সমাধান নিয়ে কাজ করে। অ্যালান ব্রাউন একটা প্লেয়ারের কোয়ালেটি কীভাবে দলের এনভায়রমেন্টে কাজে লাগানো যায় সেটা নিয়ে কাজ করবে। ’
কার চাওয়ায় তাকে আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে নাফিস বলেন, ‘ব্যাপারটা আসলে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা ক্রিকেট দল ভবিষ্যতে তাকাচ্ছি। আমরা চাই প্রতিটা স্টেপে সামনে এগোতে। সামনে এগোনোর স্টেপে এটা একটা সিঁড়ি। দলের উন্নতির জন্য বিসিবি যেখান থেকে যেমন সাপোর্ট দরকার, দেবে। ’
শুধু ব্রাউনই নন, আগস্টে আসতে যাচ্ছেন ডক্টর ফিল। তিনি প্রথাগত মনোবিদ, ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবেই মূলত কাজ করবেন। এছাড়া নারী দল ও হাই পারফরম্যান্সেও মানসিক দিক নিয়ে কাজ করবেন, এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নাফিস অবশ্য বলছেন, কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজতে নয়; তারা চাচ্ছেন মানসিক শক্তি বাড়াতে।
এমন প্রোগ্রাম দীর্ঘমেয়াদে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে নিয়মিত এ ধরনের জিনিস রাখা। এটা ২৪ ঘণ্টা রাখা দরকার হয় না। সব জায়গায় দেখবেন তাদের এক্টিভিটি বছর ব্যাপী হয় না, ব্লকে ব্লকে করে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২১০১ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস