ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

ক্রিকেট

জ্যোতিকে দেখাতে পারলাম আমিই সেঞ্চুরি করেছি: ফারজানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
জ্যোতিকে দেখাতে পারলাম আমিই সেঞ্চুরি করেছি: ফারজানা

দীপ্তি শর্মার বলে সেঞ্চুরি ছুঁলেন ফারজানা হক পিংকি। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে।

‘জ্যোতি’, ‘জ্যোতি’ বলে চিৎকারও করলেন ফারজানা। তিনি যে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকেই ডেকেছেন, সেটি বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় খুব বেশি।  

শনিবার ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে রীতিমতো ইতিহাসই গড়েছেন ফারজানা। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এরপর জ্যোতিকে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনেই আসেন ডানহাতি এই ব্যাটার। বেশ বড় সময় ধরে হারমানপ্রিত কৌর বিতর্ক নিয়ে কথা বলার পর প্রশ্ন আসে ফারজানার কাছে।  

তিনি বলেন, “আমার পাশে যে বসে আছে সে সব সময় বলত যে, ‘পিংকি আপু আমি কিন্তু সেঞ্চুরি করব, আমি সেঞ্চুরি করব। ’ আমি কিন্তু শুনতাম কখনো উত্তর দিতাম না। আসলে ওর পজিশন, আমার পজিশন যখন ক্লাবে বা বাংলাদেশ দলে খেলি আমাদের উপরেই ব্যাট করতে হয়। আজকে সেঞ্চুরি করার ৭০-৮০ ভাগ হচ্ছে ওর জন্য। কারণ আমি ওকে দেখাতে পারলাম আমিই করেছি। আমার স্কিলের প্রতি বিশ্বাস ছিল। যেহেতু ভালো শুরু পাচ্ছি। দিনশেষে সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। “

এরপর জ্যোতির কাছে প্রশ্ন যায়। সবসময় বলেও করতে পারলেন না। কোনো আফসোস কি আছে? জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ডাবল সেঞ্চুরি কিন্তু এখনও কেউ করেনি...’

দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ফারজানা সেঞ্চুরি পেয়েছেন। অনেক বড় ব্যবধানেই অবশ্য ছাড়িয়ে গিয়েছেন বাকিদের। ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে করা সালমা খাতুনের ৭৫ রান ছিল সর্বোচ্চ। এই ছাড়িয়ে যাওয়া আগামীতে প্রেরণা জোগাবে, এমন বিশ্বাস ফারজানার।  

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন একটা বড় ইনিংস খেলেন আপনার আগামীর জন্য আরও বুস্টআপ হবে। আমি যে আজ সেঞ্চুরি করেছি আমার ঘাটতি নেই তা না। আমি আরও ভালো করার চেষ্টা করবো। আমি তো বললাম, আমার ম্যানেজমেন্ট প্রসেস নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছে। এবং সেভাবে আমরা সামনে এগুচ্ছি। ’ 

‘সত্যি কথা বলতে আমি সেঞ্চুরি করিনি, অনেক সেঞ্চুরি দেখেছি। আমি মুশফিক ভাইয়ের সেঞ্চুরি দেখেছি। শান্ত ভাই রিসেন্ট দুটো সেঞ্চুরি মেরেছে। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেঞ্চুরি মারছি। এখানে এই সময়ে কোন সেঞ্চুরির চিন্তা করিনি। বল টু বল দেখেছি। যখন দেখেছি ৯৬ হয়ে গেছে তখন আমি দুই-তিনটা বল প্যানিকড হয়ে গেছিলাম যে কী করব। যেহেতু গত ম্যাচ ৪৭ রানে শেষ হয়ে গেছে, সবাই বন্ধু সার্কেলে বলছিল ফিফটি মিস হয়ে গেছে। একটুর জন্য ফিফটি হলো না। আমি বলেছিলাম, প্রসেস ফলো করে যাই। আমার ধ্যানজ্ঞান ছিল বল আর ব্যাট। ’

বাংলাদেশ সময় : ২০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।