প্রথমদিনে অনুশীলনে এসে নিউজিল্যান্ড কোচিং স্টাফের দুজন সদস্য মাঠ ঘুরে দেখছিলেন শুরুতে। তাদের সঙ্গী ছিলেন মিরপুরের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা।
নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে তারা ছিলেন বেশ ঠাণ্ডায়। সেখান থেকে এসে তাদের নামতে হচ্ছে গরমের মধ্যে। এ নিয়ে ভুগতেও হচ্ছে বেশ। যদিও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাতেই আছেন তারা। এর মধ্যে আছে আরও চ্যালেঞ্জ। ইংল্যান্ডে ‘হাই স্কোরিং’ ম্যাচ খেলে এসেছে তারা।
চার ওয়ানডের সবগুলোতেই তিনশ ছোয়া রান ছিল। এর মধ্যে এক ম্যাচে ইংলিশরা করেছিল ৩৬৮ রান। সেখান থেকে এসে মিরপুরের পিচে খেলতে হবে তাদের। যেখানে নিয়মিতই হয় অল্প রানের ম্যাচ। এটি যে চ্যালেঞ্জ হবে, সেটি স্পষ্ট করেছেন কিউইদের হেড কোচ লুক রঙ্কি।
বুধবার তিনি বলেছেন, ‘টার্ন তো থাকবেই, এখানে এটা অনেক বড় ব্যাপার। কন্ডিশন বদলেছে। রানও আলাদা হবে এখানে। ইংল্যান্ডে অনেক বড় রান হয়েছে। ব্যাটিং করা সহজ ছিল, বোলারদের জন্য একটু কঠিন ছিল। এখানে একদম আলাদা হবে। হয়তো লো স্কোর হবে। অনেকটা ওল্ড স্কুল (সেকেলে) ওয়ানডে ফিরে আসবে। এখানে মানিয়ে নিতে আর এটা দ্রুত করতে চাই। ’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে খেলতে এসেছে কিউইরা। এ সিরিজে মূল বোলারদের প্রায় সবাইকে নিয়ে এলেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ব্যাটাররা বিশ্রাম পেয়েছেন। বাংলাদেশ দলের অনেকেও আছেন বিশ্রামে। তবুও অবশ্য রোমাঞ্চকর এক সিরিজের অপেক্ষাতে আছেন লুক রঙ্কি।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্দান্ত সিরিজ হবে। নিউজিল্যান্ড থেকে আসা যে কারো জন্যই এখানে খেলা চ্যালেঞ্জ হবে। তবে আমার মনে হয় ছেলেরা এটাই চায়। এখানে আসা রোমাঞ্চকর, আশা করি ভালো দর্শকের সামনে খেলা হবে। এখানে কিছুটা গরম ও আদ্রতা আছে। এটা অনেক বড় ব্যাপার। তবে ছেলেরা ভালো অনুশীলন করেছে। যারা ইংল্যান্ড থেকে এসেছে, প্রথম দিন বিশ্রামে ছিল। কিন্তু ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। প্রথম ম্যাচের জন্য যতটা সম্ভব প্রস্তুত হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কিউইদের হেড কোচ বলেন, ‘তারা সবসময় দুর্দান্ত দল, কঠিন ক্রিকেট খেলে। এটা তাদের কন্ডিশন, তারা জানে এখানে কীভাবে খেলতে হয়। এটা রোমাঞ্চকর সিরিজ হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১০৫৭ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি