দলের সবার মধ্যেই চনমনে ভাব। ক্রিকেটাররা অনুশীলনের মাঠ থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে বাংলাদেশ থেকে উড়ে আসা দুয়েকজন সমর্থকদের সঙ্গে কথাও বলছেন।
মিডিয়া ও টিম অপারেশন্স ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানিয়েই দিলেন, ম্যাচ পূর্ব ও ম্যাচ পরবর্তী ছাড়া মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না কেউ। পরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তাকে পেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, কেন মিডিয়ার জন্য এমন বিধিনিষেধ?
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মনোযোগটা ক্রিকেটেই থাকুক। যেটা হয় অনেক সময় সাক্ষাৎকার থেকে কথা ছোট করে এমন একটা নিউজ আসে। হয়তো ছেলেটা যে কথা বললো, সরল একটি ভাবনা থেকেই বললো। অনেক সময় অনেক কাটা কাটা নিউজ হয়। যেগুলোর এমন ভয়ঙ্কর শিরোনাম হয়, তাতে সবাই বিব্রত হই। ’
‘আমার মনে হয় যেহেতু আমাদের মনোযোগ বিশ্বকাপ খেলার দিকে। আমরা চাইবো যতটুকু তথ্য...আপনারা তো এখানে আছেন, মাঠে দেখবেন, সবই হবে। কিন্তু একটা করে ইন্টারভিউ যাওয়া সবার জন্য সহজ। আমার মনে হয় ছেলেরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকে তাহলে মনোযোগের পর্যায়টা ভালো থাকবে। এজন্যই এই চিন্তা যে ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক, সিনিয়র ক্রিকেটার হোক বা কোচ যেন কথা বলে। ’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ধর্মশালাতেও চলছে ওই প্রস্তুতি। কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য হারিয়েছে এশিয়া কাপে। সুজন মাঠে নামতে চান ওই স্মৃতিকে সঙ্গী করেই।
তিনি বলেন, ‘আফগানদের শেষ পারফরম্যান্সের কথা যদি চিন্তা করি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে হারিয়েছি। আমরা একটি ইতিবাচক নোট নিয়ে শুরু করছে। আফগানিস্তানের খুব ভালো বোলিং অ্যাটাক আছে। তাই বলে যে ওদের হারানো যাবে না, তা না। অথবা ওরাও আমাদের হারিয়ে দেবে এমনও না। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস