খুব একটা উঁচুতে না উঠলেও মার্ক উডের বাউন্সারটির গতি ছিল ঘণ্টা ৯২ মাইল। সেই বল হুক করে রাচিন রবীন্দ্র উড়িয়ে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির ওপারে।
আহমেদাবাদে নিউজিল্যান্ডের ৯ উইকেটের দাপুটে জয়ের মাধ্যমে পর্দা উঠলো বিশ্বকাপের। ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ৮২ বল হাতে রেখেই পাড়ি দেয় কিউইরা। যার নেপথ্যে মূল অবদান সেঞ্চুরি পাওয়া ডেভন কনওয়ে ও রাচিনের। অবিচ্ছিন্ন ২৭৩ রানের জুটিতে জয়ের পথটা মসৃণ করে দেন। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ১৫২ রানে। অন্যদিকে ৯৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন রাচিন।
ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। তার জায়গায় ব্যাটিংয়ে নেমে সেই অভাব বুঝতেই দেননি রাচিন। ম্যাচসেরা হয়ে ২৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, 'মাঝেমধ্যে অবিশ্বাস্য লাগে, তবে দুর্দান্ত একটি দিন কাটিয়ে অসাধারণ লাগছে। বোলাররা ভালো বোলিং করেছে এবং সৌভাগ্যবশত আমি উইকেটে গিয়ে ডেভনকে পেয়েছি। '
'ডেভনের সঙ্গে অনেক সময় কেটেছে আমার এবং আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে-ই আমাকে বলে কীভাবে কী করতে হবে। তাই উইকেটে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করছিলাম। চার-পাঁচ বছর আগে থেকেই আমরা সবাই জানতাম ডেভন কেমন খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। কিছুটা সুইং থাকলেও উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচের মতো। গতকাল ফার্গুসন ইনজুরিতে পড়ার সময় জানলাম তিনে ব্যাট করতে হবে। সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। আমি এমনিতে বরাবরই ভালো ঘুমাই। '
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৩
এএইচএস