ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সমতায় শেষ বাংলাদেশের স্মরণীয় সিরিজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
সমতায় শেষ বাংলাদেশের স্মরণীয় সিরিজ

অনেকদিন মনে রাখার মতো সিরিজ। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ম্যাচ জয়, এরপর টি-টোয়েন্টিতেও তাই।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে না পারার হতাশা নিয়েই অবশ্য শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত এক সফরের।  

শুরুতে ব্যাটাররা কেউই বড় রান করতে পারেননি। বাংলাদেশও অলআউট হয় অল্পতে। কিন্তু ওই রান নিয়েই দুর্দান্ত লড়াই করছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে সঙ্গী হয়েছে হারের হতাশা।  

রোববার বে ওভালে নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে বৃষ্টি নামার আগে ১৪ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হতাশার শুরু আদতে প্রথম ওভারেই। একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু টিম সাউদির চতুর্থ বলে তাকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন সৌম্য, কিন্তু অল্পের জন্য স্টাম্পে আঘাত করে বল; আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশি ওপেনার।  

পরে রনি তালুকদারের সঙ্গে ছোট একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২২ বলে ২৭ রানের ওই জুটিই অবশ্য শেষ অবধি ইনিংসের সবচেয়ে বড় হয়ে যায়। ১৫ বলে ১৭ রান করে এডাম মিলনের বলে ফিন অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত, সেটি ছিল দলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

শান্তর বিদায়ের পরের ওভারেই রনি তালুকদার ১০ বলে ১০ রান করে এলবিডব্লিউ আউট হন। এরপরও বাংলাদেশকে কক্ষপথে রেখেছিলেন তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। কিন্তু হৃদয় ১৮ বলে ১৬ ও আফিফ ১৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।  

এরপর কেবল রিশাদ হোসেন ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ রান করা রিশাদ দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, এডাম মিলনে ও বিন সিয়ার্স। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একাই চার উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।

অল্প রান তাড়ায় নেমে তানভীর ইসলামের করা প্রথম ওভারেই ১২ রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারে এসে অবশ্য দুর্দান্ত করেন মাহেদী হাসান। টিম সেইফার্টকে স্টাম্পিংয়ের শিকার বানিয়ে দেন কেবল ৪ রান। মাঝে শরিফুলের এক ওভারের পর বোলিংয়ে এসে আবার উইকেট নেন মাহেদী।  

এবার ড্যারল মিচেল ক্যাচ দেন মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে। নিউজিল্যান্ডকে বিপদেই ফেলে দেন। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারে ম্যাচ জমে যায় পুরোপুরি। এবার রান আউট হন মার্ক চাপম্যান। ৫ বলে ১ রান করেন তিনি।  

তবে বাংলাদেশের জন্য একপ্রান্তে হুমকি হয়ে উঠেছিলেন ফিন অ্যালেন। এ সিরিজে টানা ষষ্ঠবারের মতো তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তাকে অধিনায়ক বোলিংয়ে আনলে প্রতিদান দেন অ্যালেনকে বোল্ড করে, ৩১ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।  

কিন্তু পুরো সিরিজে দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করা শান্ত জুয়া খেলেন নিজেকে বোলিংয়ে এনে। সফল হতে পারেননি তিনি। তখনও অবধি ডার্ক ওয়াথ লুইসে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড তার ওভারে নেয় ১৪ রান। টানা দুই বলে তাকে ছক্কা ও চার হাঁকান জিমি নিশাম।  

ম্যাচ আবারও চলে যায় স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণে। বৃষ্টি আসার আগে অবধি নিশাম ও স্যান্টনারের জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৭ বলে তাদের অপরাজিত ৪৬ রানের জুটি ছিল। খেলা বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।