ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

৫ উইকেট নিয়ে বছর শুরু কামিন্সের, ছুঁলেন জনসনের কীর্তিও

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
৫ উইকেট নিয়ে বছর শুরু কামিন্সের, ছুঁলেন জনসনের কীর্তিও

২০২৩ সাল যেখানে শেষ করেছিলেন, নতুন বছর সেখান থেকেই শুরু করলেন প্যাট কামিন্স। দুর্দান্ত লাইন আর বাউন্সে টানা তৃতীয়বারের মতো পঞ্চম উইকেটের দেখা পেলেন এই অজি পেসার।

সেই সঙ্গে ছুঁয়েছেন সাবেক ফাস্ট বোলার মিচেল জনসনের কীর্তিও।

নতুন বছরে দলের প্রথম ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে আজ মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে আজ বল হাতে রাজত্ব করেছেন কামিন্স। শিকার করেছেন পাঁচ পাকিস্তানি ব্যাটারের উইকেট। যা তার টানা তৃতীয় ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। গত মাসের শেষে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ৫টি করে উইকেট নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম বোলিং পরিবর্তনের সময় বল হাতে নেন কামিন্স। শুরু থেকেই সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন তিনি। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে তিনি বিদায় করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে। আর তাতে প্রথম ১১ ওভারে ৩৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।  

কামিন্সের আগেই অবশ্য পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও অভিষিক্ত সায়েম আয়ুবকে শূন্য রানেই বিদায় করেন অন্য দুই অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। এরপর সৌদ শাকিলকে আউট করেন কামিন্স। নিজের পরবর্তী স্পেলে এসে তিনি সেট ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান। আর তাতে মাত্র ১২ রানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি রিজওয়ান। কামিন্স পরে বিদায় করেন সাজিদ খান এবং হাসান আলীকে বিদায় করে নিজের পঞ্চম উইকেটের দেখা পান।

কামিন্স ও বাকি অজি পেসারদের তোপের মুখে ২২৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। তবে লোয়ার অর্ডারে নামা আমির জামালের ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলে দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র দ্বিতীয় অজি বোলার হিসেবে টেস্টে টানা তিনবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন কামিন্স। এর আগে ২০১৭ সালে একই কীর্তি গড়েছিলেন অজি স্পিনার নাথান লায়ন। সেই সঙ্গে অজি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার তালিকায়ও নাম লিখিয়েছেন কামিন্স। ১২ বার ৫ উইকেট নিয়ে তালিকার নবম (আসলে পঞ্চম) স্থানে আছেন তিনি। জনসনের কীর্তিও তার সমান।  

২৯ বার ৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন কিংবদন্তি অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। তালিকার দুইয়ে আছেন আরেক কিংবদন্তি ডেনিস লিলি (২৩ বার)। তিনে অবস্থান গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জির (১৬ বার)। আর ১৪বার ৫ উইকেট নিয়ে চারে যৌথভাবে আছেন-টেরি অলডারম্যান, অ্যালান ডেভিডসন, ক্রেইগ ম্যাকডারমট এবং মিচেল স্টার্ক।

এর আগের বছরটা ছিল কামিন্সের জন্য স্বপ্নের মতো। যা ছুঁয়েছেন তা-ই সোনায় পরিণত হয়েছে যেন। তার নেতৃত্বে লন্ডনের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে অজিরা। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া। এবং ভারতকে হারিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। আর শেষদিকে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে কামিন্সবাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।