ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাক্ষাৎকারে নাজমুল হোসেন

‘মুখে বলা সহজ, করে দেখানো কঠিন’

মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
‘মুখে বলা সহজ, করে দেখানো কঠিন’ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে নাজমুল হোসেন (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)।

জিম সেশন শেষ করে বাকি ক্রিকেটারদের ঠিকানা তখন একাডেমি ভবন। নাজমুল হোসেন নেমে পড়লেন তার পেস বোলারদের নিয়ে।

কয়েকদিন পর হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তাদের দায়িত্ব একসময় জাতীয় দলে খেলা এই পেসারের ওপর।

চার বছর আগে খেলা থেকে অবসর নিয়ে কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এখন কোথায় ক্যারিয়ার, কী স্বপ্ন দেখেন, কোচিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে নাজমুল কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে। ক্যারিয়ারের ছোটখাটো আক্ষেপ, প্রজন্ম বদলে ক্রিকেটারদের মূল্যায়নও উঠে এসেছে ওই আলাপে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান বাপ্পি—

বাংলানিউজ: ৪ বছর আগে আপনি যখন খেলা ছেড়েছেন বয়স ছিল ৩১ বছর। এখন যেখানে আছেন, পথটা কি ঠিকঠাকই মনে হচ্ছে?

নাজমুল: সবাই তো চায় আরেকটু বেশি খেলতে, সেটি পারলে ভালোই হতো। কোচিংয়ে এসে মনে হয়েছে খেলাটাই সহজ। কোচিং করানো অনেক কঠিন কাজ। খেলার সময় আমার কাছে মনে হতো কোচরা কী করছে, এই-সেই! সবচেয়ে বড় জিনিস কী, খেলা এজন্য সহজ বললাম; খেলায় একটা জিনিস নিয়ে চিন্তা করলেই হয়। নিজের বোলিং বা কী করবো ওই বিষয়েই ভাবনা আটকে থাকে।  

কিন্তু যখন কোচিংয়ে এলাম, পুরো দলের দায়িত্ব এসে পড়লো। প্রতিটি খেলোয়াড় কী করবে, না করবে; বিশাল একটা দায়িত্ব থাকে। এখন যেহেতু কোচ হয়েছি, এমনকি বাসায় গেলেও একটা হোমওয়ার্ক আছে। সবকিছুতেই আসলে জড়িত থাকা লাগে। এজন্য খেলাটাই সহজ মনে হয়।

বাংলানিউজ : আপনি যখন খেলাটা শিখতেন, তখন কি এটা ভাবতেন যে কখনও আমিও শেখাবো?

নাজমুল: তখন আসলে এরকম কোনো চিন্তাই ছিল না যে পরে এ জিনিসগুলো আমি শেখাতে পারি। নিজের ভালোর জন্য কী করতে হবে, এগুলো নিয়েই কাজ করতাম। আমরা যে জিনিসটা নিয়ে কাজ করেছি, এগুলো কিন্তু এখন খুবই কাজে দিচ্ছে যে একই জিনিস আমরা নিজেরা করে এসেছি। যেহেতু নিজে করে এসেছি, ছেলেদেরকে বুঝানো অনেক সহজ হয়েছে।

বাংলানিউজ : এখন আপনার নিজের শেখার প্রক্রিয়াটা কী?

নাজমুল: দেখুন, এই জায়গায় হচ্ছে কে কী বললো...একই জিনিস নিয়ে আলাদা কোচের ভিন্ন ভিউ থাকে। আমার হয়তো অল্প বা ছোট ক্যারিয়ার। কিন্তু আমি যেসব জিনিস নিয়ে সফল হয়েছি বা এই জিনিসগুলো করে একটু হলেও ফল পেয়েছি— আমাদের বোলারদের ওগুলো বলারই চেষ্টা করি।

কারণ হচ্ছে কী আমি যদি কাজ দিয়ে ওদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করতে না পরি, তাহলে কিন্তু ওরা আমাকে বিশ্বাস করবে না। বিশ্বাস অর্জন, একটা ছেলেকে বুঝতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

বাংলানিউজ : কোচ হিসেবে যখন প্রশংসা পান, তখন কেমন লাগে?

নাজমুল: এটা শুধু আমার না, যে কেউই তার নামে ভালো কথা শুনতে চায়। কিন্তু একই সঙ্গে কখনও হয়তো বোলাররা ভালো করবে না, সমালোচনাও শুনতে হবে তখন। সমালোচনা না শুনলে কিন্তু কোচ হিসেবে সফল হওয়া কঠিন। সমালোচনা ও প্রশংসা দুটোই একই পাল্লায় নেওয়া উচিত।

এখন যদি আমরা বিশ্বকাপে ভালো না করতে পারি, অনেকে বলবে যে ফ্লোতে হয়ে গেছে (এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন)। আমাদের যেন এটা না হয়, তার জন্য অনেক চেষ্টা করছি। আসলে ক্রিকেট খেলায় যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। ভালো-খারাপ মিলিয়েই কিন্তু কোচিং জীবন। ভালোর পরিমাণ যত ভালো হয়, নিজেরই ভালো লাগে।

বাংলানিউজ : আপনার ক্যারিয়ার ছোট হলেও অনেক স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী ছিলেন— ভারতের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে জয়, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো, বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন। ওসব মুহূর্তগুলো এখন কীভাবে কাজে আসে?

নাজমুল: এটা কিন্তু খুব বড় একটা উদাহরণ— আমি অনেকগুলো বড় জয়ের সাক্ষী হতে পেরেছি। কিন্তু এই যে আমরা এশিয়া কাপ জিতেছি, এখন সবাই ভাবছে বিশ্বকাপ জিতে যাবো। এটা কিন্তু আসলে রাতারাতি হয় না। মুখে বলা সহজ, বাস্তবে করাটা খুব কঠিন। আমরা ওই জায়গায় (দক্ষিণ আফ্রিকায়) গেলে বুঝতে পারবো কন্ডিশন কেমন বা আমাদের দলের অবস্থা কেমন।

আমি যেমন ছেলেদের বলার চেষ্টা করি— হ্যাঁ, আমরা এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু এর মানে এই না যে কোনো ভুল করিনি। এগুলো শুধরে যদি প্রক্রিয়া মেনে এগোতে পারি, তাহলে হয়তো ভালো ফল করতে পারবো। কিন্তু আমি কখনোই বলবো না যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবো।

আরেকটা যেটা বললেন, বড় বড় জয়ের সাক্ষী বা বড় বড় ব্যাটারদের বিপক্ষে বল করা; আমার যে অভিজ্ঞতা, এগুলো শেয়ার করি। কোন মুহূর্তে কীভাবে কামব্যাক করতে হয়। আমার যেটুকুই অভিজ্ঞতা, সেসব ওদের ভাগাভাগি করার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় ওরা এগুলো ভালোভাবেই নিচ্ছে।

বাংলানিউজ : আপনি তো খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক ভুগেছেনও। ইনজুরি ছিল, আরেকটা অভিজ্ঞতার কথা বলতেই হয় স্কোয়াডে থেকেও ২০১১ বিশ্বকাপে একটা ম্যাচও খেলেননি...

নাজমুল : এটা যে কীভাবে ব্যাখা করবো তা আমার জানা নেই। এগুলো এখন টানা আমার কাছে মনে হয় সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছু না। যেটা চলে গেছে, সেটা গেছে। এখন তো আরেকটা পার্ট। যেহেতু খেলোয়াড়ি জীবন শেষ, কোচিংয়ে চলে এসেছি; পুরোপুরি আলাদা একটা জীবনে। এগুলো চিন্তা করে কষ্ট পাওয়া ছাড়া কিছুই হবে না এখন। এজন্য এগুলো চিন্তা করে লাভ নেই।

আমি এই জিনিসগুলোই ওদের বলার চেষ্টা করি। আমাদের জাতীয় দলে যে বোলাররা আছে, ওদেরও একই কথা বলি—  তোমরা কিন্তু অনেক ভাগ্যবান ধারাবাহিকভাবে খেলছো। তিন ফরম্যাটেই ছয়-সাতজন বোলার খেলছে। ওরা জানে যে, কোনো কিছু না করলেও ওরা খেলবে।

আমাদের সময় কিন্তু আজকে ভালো খেলেছি, পরের ম্যাচ খেলবো কি না তাও জানতাম না। এদিক থেকে যারা নির্বাচক তাদের একটা কৃতিত্ব দিতে হয় যে টানা সুযোগ করে দিচ্ছে। এটা তো আসলেই কষ্টের বিষয় যে ভালো খেলার পরও...।

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একটা দুঃখ কমেছে, ২০১২ সালে আমরা যখন ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছিলাম। কোচ হিসেবে যখন এশিয়া কাপ জিতেছি এজন্যও আসলে ভালো লেগেছে।

বাংলানিউজ : কোচ হিসেবে এমনিতে আপনার স্বপ্ন কী?

নাজমুল: একদম সিম্পল জিনিস—  আমাকে অনেকে বলছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে যে বোলাররা আছে ওরা হয়তো কখনো মোস্তাফিজ-তাসকিনের বিকল্প হবে। হয়তো হবে। কিন্তু আমি এখনই বলতে চাই না যে ওরা মোস্তাফিজ বা তাসকিনের মতো হয়ে যাবে। এটা অনেক প্রসেসের ব্যাপার।

যদি ওরা এখন যে প্রসেসে আছে, সেটা ধরে রাখতে পারে। ক্রিকেটে শুধু স্কিল থাকলে হয় না, সাহস করে যদি এগিয়ে না আসতে পারে তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টিকে থাকা কঠিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক-দুই ম্যাচ খেলে ছিটকে যাবে, এরকম খেলোয়াড় তৈরি করে দলের লাভ হয় না।

আমাদের তো আসলে চেষ্টা ছাড়া কিছু করার নেই। কিন্তু একটা ছেলে যদি ১০-১২ বছর খেলতে পারে তাসকিন-মোস্তাফিজদের মতো। এরকম যেন খেলতে পারে, সেভাবেই ওদের তৈরি করার চেষ্টা করছি। যদি ওরা নিজেদের ওভাবে মেইনটেইন করতে পারে; তাহলে আমার মনে হয় একসময় গিয়ে বিকল্প হতে পারবে।  

বাংলানিউজ : এমন খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য কোচ হিসেবে ধৈর্যও তো অনেক জরুরি?

নাজমুল : অবশ্যই, কারণ খেলোয়াড়রা গেছে; রান করতে পারেনি, চলে এসেছে। ও চেষ্টা করে আবার কামব্যাক করবে। কিন্তু আমাদের এসব পরিস্থিতিতে মুখোমুখি হতে হয়, জবাবদিহিতা থাকে। ছেলেটা কীভাবে উন্নতি করবে। রান করতে না পারলে, উইকেট না পেলে কীভাবে তাকে আবার ফেরানো যায় এ নিয়ে হোমওয়ার্ক করতে হয়। সবমিলিয়ে কোচিংটা এজন্যই বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়।

বাংলানিউজ : আপনি তো কয়েকটা আলাদা প্রজন্মের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন। তাদের সঙ্গে এখনকার ছেলেদের কী তফাৎ দেখেন?

নাজমুল: আমার কাছে মনে হয় আগে আমি সুজন (খালেদ মাহমুদ) ভাই, আকরাম (খান) ভাই, (মিনহাজুল আবেদীন) নান্নু ভাই বা সাকিব (আল হাসান), এমনকি লিটনদের সঙ্গেও ঘরোয়া লিগে খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় আগের যে খেলোয়াড়রা ছিল তারা খুব ম্যাচিউরড। কী করলে তাদের ভালো হবে এটা খুব ভালো জানতো। যদিও এতকিছু ছিল না।

এখন হয়তো আমাদের অনেক ফ্যাসিলিটিজ, অনেক স্ট্রাকচার হয়েছে; কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করলে আমার কাছে মনে হয় আগের খেলোয়াড়রা ক্রিকেটটা খুব ভালো বুঝতেন। এখনও অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় আসছে, কিন্তু ক্রিকেট জ্ঞানের দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে।

বাংলানিউজ:  অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ছেলেদের কী ধরনের ব্যাপার শেখাচ্ছেন?

নাজমুল: আমি আসলে ওদের পেয়েছি তিন মাস। খেলা ছাড়ার পর থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়েই কাজ করেছি, এইচপি বা টাইগার্সে। তিন মাস আগে যখন ওদের দায়িত্ব নিয়েছি, তখন মনে হয়েছে যে ওরা পেশাদার ক্রিকেট খুব একটা বুঝতো না। হয়তো আগে যারা কাজ করেছে, তারা তাদের মতো করে চেষ্টা করেছে।  

কিন্তু আমি যখন তিন মাস আগে ওদের দায়িত্ব নিয়েছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গেম সেন্স কম ছিল। কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরনের বোলিং করতে পারে, যেমন প্রথম ১০ ওভারে দুইটা ফিল্ডার বাইরে থাকে। পরের ৩০ ওভারে চারটা ফিল্ডার বাইরে থাকে বা শেষের স্লগ ওভার; গেম প্ল্যানে ওরা এসব দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিল।

টুকটাক তো স্কিলেরও কাজ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে ওদের কিছুটা হলেও বদল করতে হয়েছে। আমি ওদের কৃতিত্ব দেবো যে ওরা খুব ভালোভাবে নিজেদের তৈরি করার চেষ্টা করেছে। ওদের মধ্যে ভালো করার প্রবণতা ছিল। এটার ফল আমরা পাচ্ছি। যদি প্রক্রিয়াটা ধরে রাখতে পারে, তাহলে বিশ্বকাপেও ভালো কিছু পাবো।

বাংলানিউজ : বিশ্বকাপে চ্যালেঞ্জ কী হবে?

নাজমুল: দক্ষিণ আফ্রিকায় যে যাচ্ছি, খেলোয়াড় হিসেবে সবসময় চ্যালেঞ্জিং। আমি কোচ হিসেবে ওদের বলতে পারবো, কিন্তু কাজ যেহেতু ওরা করবে ওদের জন্য বেশি কঠিন। আমার জন্য এত বেশি চ্যালেঞ্জিং না; কারণ আমি শুধু বলবো, করতে হবে ওদেরই।

অনেকে বলে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে পেস বোলারদের বাড়তি সুবিধা। কিন্তু সুবিধা পাওয়ার জন্য কী কী করতে হবে, সেটা যদি এখন থেকে চিন্তা করে ওদের জন্য কাজটা সহজ হবে। আমাদের যে দল আছে, যদি দল হয়ে খেলতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়।

বাংলানিউজ : আপনার চারজন শিষ্য যাচ্ছে এই যুব বিশ্বকাপে, তাদের নিয়ে যদি একটু একটু করে বলেন...

মারুফ মৃধা—  আমি কম সময় পেয়েছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে ছেলেটার ভালো খেলার ইচ্ছে খুব বেশি। যদি ও নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্য নিয়ে আরেকটু জানতে পারে; তাহলে আমি মনে করি কোনো একসময় বাংলাদেশের ভালো একটা বোলার হবে যে অনেকদিন খেলতে পারবে।

বর্ষণ—  ও দ্রুতগতির বোলার। সবসময় অতিরিক্ত কিছু করতে চায় যেটা দলের জন্য ভালো হবে। ও যে অবস্থায় এখন আছে, ১৪০-এ বল করতে পারে। ও যদি চালিয়ে যেতে পারে, বাংলাদেশের জন্য ভালো একটা সম্পদ হবে তিন ফরম্যাটেই।

ইমন—  ওকে যতটুকু দেখেছি লম্বা রেসের ঘোড়া হতে পারে। যে বাংলাদেশের জন্য অনেক বছর খেলতে পারবে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সে বেশি কার্যকর হবে। আমার মনে হয় ও টেস্টে অনেকদিন খেলবে।

রিজওয়ান—  যেহেতু আমাদের এরকম অলরাউন্ডার খুবই কম। ওর যেটুকু সক্ষমতা আছে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে, এটা যদি সে মেইনটেইন করতে পারে। ও অনেক পরিশ্রম করে। আমার কাছে মনে হয় পেস বোলিংয়ে ভালো অলরাউন্ডার হতে পারে।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet