ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ট্রফি জয়ে ‘ব্যক্তিগত আবেগ’ ছিল না তামিমের, উৎসর্গ পাঁচজনকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
ট্রফি জয়ে ‘ব্যক্তিগত আবেগ’ ছিল না তামিমের, উৎসর্গ পাঁচজনকে

তামিম ইকবাল সংবাদ সম্মেলনে আসার পুরো পথেই তাকে ঘিরে থাকলো শত শত ক্যামেরা। তাদের পাশ কাটিয়ে উদযাপনে, পরিবারের কাছাকাছি যেতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছিল।

এমন আলো অবশ্য তামিমের জন্য নতুন নয়।  

ফরচুন বরিশালের হয়ে পাওয়া শিরোপা স্বাদটা আগেও উপভোগ করেছেন তামিম। কিন্তু তার দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের জন্যই ট্রফিটা নতুন। বিশেষ করে শুরু থেকে বিপিএল খেলা আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- মুশফিকুর রহিম এবারই ছুয়েছেন শিরোপা।  

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে, উদযাপনে তাই তাদের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখলেন তামিম। সংবাদ সম্মেলনে এসেও কথা বললেন তাদের। সবমিলিয়ে দলের পাঁচ ক্রিকেটারকে ট্রফি উৎসর্গ করেন তামিম। আগেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএল শিরোপা জেতা তামিমের কাছে এবারেরটা কতটুকু আলাদা?

তামিমের উত্তর, ‘অবশ্যই যেকোনো ট্রফি ফ্যান্টাসটিক। কিন্তু আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল, কিছু তরুণ খেলোয়াড় মিরাজ বলেন বা সৌম্য বলেন। দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটার রিয়াদ ভাই, মুশফিক। তারা দেশকে অনেকদিন ধরে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু ওরা এই ট্রফিটা এখনো পায়নি। আমার নিজেরই একটা ইচ্ছা ছিলো আল্লাহ যদি আমাদের দেয় (ট্রফি) তাহলে এই ট্রফি তাদের উৎসর্গ করব। ’ 

‘আমি জানি মিরাজ, সৌম্য, তাইজুল তাদের সামনে অনেক সময় আছে অনেক ট্রফি জেতার। আমি জানি না রিয়াদ ভাই ও মুশফিক ভাই (কতদিন খেলবে)। যেভাবে তারা পারফর্ম করেছেন হয়তো চালিয়ে যাবে। অন্যদের মতো এত নয়। এই কারণে প্রেজেন্টেশনের সময় ওদের নিয়ে গিয়েছি। কারণ তারা জেতার কাছাকাছি আগেও গিয়েছিল। ’

এবারের বিপিএলের আগের কয়েক মাস নানা কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তামিমকে। সেসবও কি কাজ করেছে শিরোপা জেতার অনুপ্রেরণা হিসেবে? তামিম বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোন আবেগ ছিলো না। ভালো করতে চেয়েছি। হয়তো সেরা শেপে ছিলাম না কিন্তু অবদান রেখেছি। ’ 

‘যদি এভাবে ভাবতাম যে জবাব দিতে হবে, তাহলে হয়তো ভালো করতে পারতাম না। আমি জিনিসটাই ভাবি নাই যে জবাব দিতে হবে। আমার ক্যারিয়ার যদি তিন বছরের হতো তাহলে চিন্তা করতাম জবাব দিতে হবে। আমি কি করেছি না করেছি সবাই দেখেছে। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করা। দলের পরিবেশ খুব ভালো ছিলো। আমাদের দলের পরিবেশ ছিল অবিশ্বাস্য। ’

‘বিদেশিরা ভালো খেলোয়াড় তো বটেই তারা ভালো মানুষ ছিল। আমরা প্লে অফে আসতে পারব কি পারব না তা নিয়ে নিজেরাও শঙ্কায় ছিলাম, কিন্তু দলের পরিবেশের কারনে এটা করতে পেরেছি। আমি মালিকের কথা বলব, উনার সঙ্গে আমার দ্বিতীয়বার। উনার টাকা পয়সা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। সেটা দারুণ করেছেন। ক্রিকেটিং দিকে কোন ভাবে যুক্ত হননি। ’

বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।