ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চাপ সামলে লিয়ানাগের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
চাপ সামলে লিয়ানাগের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩৬ ছবি: সোহেল সরওয়ার

শুরুটা করেন তাসকিন আহমেদ, দুই ওভারে তিনি তুলে নেন দুই ওপেনারকে। এরপর কখনো মোস্তাফিজুর রহমান, কখনো রিশাদ হোসেন ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ায় চাপ ধরে রাখে বাংলাদেশ।

কিন্তু শ্রীলঙ্কার হয়ে হাল ধরেন জানিথ লিয়ানাগে। ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির সঙ্গে দলের রানও নিয়ে যান সুবিধাজনক জায়গায়।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করেছে লঙ্কানরা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। নিজের প্রথম দুই ওভারে তিনি ফেরান লঙ্কান দুই ওপেনারকে। ৮ বলে ১ রান করা পাথুম নিশাঙ্কা তার বলে এলবিডব্লিউ হন, যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে বাঁচতে পারতেন তিনি।  

তাসকিনের পরের ওভারে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন আভিশকা ফার্নান্দো। ৬ বলে ৪ রান করে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তার বিদায়ের পর কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা চাপ সামলে উঠার চেষ্টা করছিলেন জুটি গড়ে। কিন্তু এবার বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আগের দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান।  

পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৪০ রান তুলে দুই উইকেট হারিয়ে এমনিতেই চাপে ছিল শ্রীলঙ্কা। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সামারাবিক্রমাকে ফেরান মোস্তাফিজ। ১৫ বলে ১৪ রান করা এই ব্যাটার ক্যাচ দেন মুশফিকের হাতে। এরপর আবার আসালঙ্কাকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন মেন্ডিস।  

এবার তাদের জন্য বাধা হন রিশাদ হোসেন। আগের দুই ম্যাচে বেঞ্চে থাকা এই লেগ স্পিনার নিজের প্রথম বলেই পেয়ে যান উইকেটের দেখা। রিশাদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দুর্বল শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন ৫১ বলে ২৯ রান করা মেন্ডিস। নিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে এটিই রিশাদের প্রথম উইকেট।  

৪৬ বলে ৩৭ রান করে আসালঙ্কাও ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে, তাকে ফেরান ওই মোস্তাফিজই। এরপর শ্রীলঙ্কার জন্য ত্রাতা হন লিয়ানাগে। দুইশ রান হওয়ার শঙ্কায় থাকা লঙ্কানদের সেটি ছাড়িয়েও নিয়ে যান বেশ খানিকটা দূরে। তার ওই রান করার সঙ্গী হন মাহিশ থিকসানা। লিয়ানাগের সঙ্গে ৭৮ বলে ৬০ রানের জুটি ছিল তার। মোস্তাফিজ চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ায় ৪৮তম ওভার করতে আসা সৌম্য সরকার ফেরান তাকে। ৪০ বলে ১৫ রান করেন তিনি।  

আরেকদিকে শেষ অবধি দলের হাল ধরেন থাকেন লিয়ানাগে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যান তিনি। আগের ছয় ইনিংসে তিনটিতে হাফ সেঞ্চুরি ছিল তার। ১০২ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

বাংলাদেশ সময় : ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।