ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) যেন প্রতিবারই আবাহনীর ট্রফি কেবিনে গিয়ে জমা পড়ে। এবারের আসরেও তার ব্যতিক্রম হলো না।
টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে অনেকেই বলছিলেন ‘অঘোষিত ফাইনাল’। যেখানে মোহামেডানের বিপক্ষে লিগ পর্বে হার দিয়ে শুরু করা আবাহনী ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ হাসি হাসল। আর তাতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শিরোপা খরা কাটাতে না পারা মোহামেডান আবারও শিরোপা থেকে বঞ্চিত হলো।
আজ মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করে মোহামেডান। উদ্বোধনী জুটিতে রনি তালুকদার ও তৌফিক খান তুষার ৫০ রানের জুটি গড়ে ভালো শুরু এনে দেন। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
তুষার আউট হন ১৬ রানে, আর রনি থামেন ৪৫ রানে।
মাঝে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম, দুজনেই খেলেন ৫০ রানের ইনিংস।
আবাহনীর হয়ে বল হাতে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেন সমান ২টি করে উইকেট।
২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবাহনীর শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই শাহরিয়ার কমল ফিরে যান সাজঘরে। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে এগিয়ে যায় আবাহনী।
জিশান আলম তিন নম্বরে নেমে ৫৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
আবাহনীর বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন যোগ করেন ২৮ রান—যিনি এবারের ডিপিএলে ৭৯৮ রান করে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। (শীর্ষে ছিলেন এনামুল হক বিজয়: ৮৭৪ রান)
ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ মিথুন। চতুর্থ উইকেট পড়ার পর দুজন মিলে গড়েন ১৩৫ রানের জয়সূচক অবিচ্ছেদ্য জুটি।
সৈকত খেলেন নেতৃত্বসুলভ ৭৮ রানের ইনিংস, বল হাতেও শিকার করেন ২টি উইকেট।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিথুন অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে।
প্রতিপক্ষের হয়ে নাসুম আহমেদ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনে।
এমএইচএম