প্রথম দুই দিন আশা জাগালেও তৃতীয় দিনে পাথুম নিশাঙ্কার দারুণ ব্যাটিংয়ের কারণে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুটাও শ্রীলঙ্কা নিজেদের করে নেয় কামিন্দু মেন্ডিসের দারুণ ব্যাটিংয়ে।
চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান। প্রথশ ইনিংসে ৪৯৫ করে তারা শ্রীলঙ্কা থেকে এখনও এগিয়ে আছে ১৮৭ রানে। সফরকারীরা সবগুলো উইকেট হারিয়ে করে ৪৮৫ রান। আগামীকাল শেষ দিনে শান্ত ৫৬ ও মুশফিকুর রহিম ২২ রানে খেলতে নামবেন।
তৃতীয় দিনে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকা কামিন্দু চতুর্থ দিন খেলতে নেমে ৮৬ বলে পূর্ণ করে নেন ফিফটি। এর আগে অবশ্য আগের দিন ১৭ রানে অপরাজিত থাকা ধনঞ্জয়াকে ফেরান নাঈম হাসান। ১৯ রান করে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলেন লঙ্কান ব্যাটার। কুসল মেন্ডিসকে টিকতে দেননি হাসান। ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর মিলানের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন কামিন্দু। সফলও হয়েছেন তারা। তবে ১৫৩ বল স্থায়ী এই জুটিকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান। মিলান ফেরেন ৩৯ রান করে। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান লড়তে থাকা কামিন্দুও। ১৪৮ বলে ৮৭ রান করে উইকেট হারান তিনি। এরপর দ্রুত থারিন্দু ও আসিথাকে বিদায় করে লঙ্কানদের গুটিয়ে দেন নাঈম। ৪৮৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। স্রেফ ১০ রানের জন্য নিতে পারেননি লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে আনামুল টেকেননি বেশিক্ষণ। প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করা এই বাংলাদেশি ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ বলে করেন ৪ রান। জয়াসুরিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরে করা বল উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে হারান উইকেট। তিনে নামা মমিনুলও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ১৪ রানে।
তবে একপ্রান্ত সামলে লড়ে যাচ্ছেন সাদমান ইসলাম। তাকে এখন সঙ্গ দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে গড়েন দারুণ এক জুটি। ৭০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন সাদমান। তবে দিনের শেষে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। মিলানের ডেলিভারি সামলাতে পারেননি ঠিকঠাক। বল আঘাত হাতে প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ভাঙে ১৪৫ বলে ৬৮ রানের গড়া জুটি।
১২৬ বলে ৭ চারে ৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি ওপেনার। তার বিদায়ের পর লড়াই চালিয়ে যান শান্ত। গত ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই অধিনায়ক এই ইনিংসে পার করেছেন পঞ্চাশ। তাকে সঙ্গে দিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
আরইউ