ঢাকা: টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ কাপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ব্যাটিং দুর্দশা কাটিয়ে উঠেছিল জাতীয় দল। ১৮৯ রানের লক্ষ্য দিয়েও এ দলের কাছে পাত্তা পেল না মুশফিকুর রহিম বাহিনী।
বাংলাদেশ: ১৮৮/৯ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ এ: ১৯০/৬ (১৬.৩ ওভার)
ফল: বাংলাদেশ এ দল জয়ী ৮ উইকেটে
প্রথম ম্যাচটি ১২ রানে, দ্বিতীয়টি ৬ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার নেমেছিল জাতীয় দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ বলেই প্রথম উইকেটের পতন। গত দুই ম্যাচের দুর্দশা কাটিয়ে তবুও এদিন চার-ছক্কার মার দেখা গেল তাদের ব্যাটে।
১২ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় সাজানো শামসুর রহমানের ৩৭ রান ছিল অনবদ্য। অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাটে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান। ২৪ বলে চারটি বাউন্ডারি ও দুটি বাউন্ডারির মার রয়েছে তার ইনিংসে।
শেষদিকে বড় সংগ্রহে অবদান রাখেন আব্দুর রাজ্জাক। মাত্র ১৫ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া সোহাগ গাজীর ২০, মাশরাফি মুর্তজার ১৭ ও মাহমুদউল্লাহর ১৪ রান উল্লেখযোগ্য।
এ দলের হয়ে বল হাতে তিনটি উইকেট পান মুক্তার আলী। দুটি করে নেন আরাফাত সানি, ইলিয়াস সানি ও নাসির হোসেন।
লড়াকু লক্ষ্য দিয়ে জাতীয় দল বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল। কিন্তু মার্শাল আইয়ুব ও মমিনুল হকের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩৮ বলে ৭৪ রান করে দাপট দেখায় এ দল। আল-আমিন হোসেন নিজের দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরালেও মিথুন ও সাব্বির রহমানের হার না মানা জুটিতে জয় পায় তারা। মাত্র ৫০ বলে হার না মানা ১০৩ রান করে এই জুটি।
আইয়ুব ২০ বলে ২৫ রান করেন। আর মমিনুল খেলেন ২৩ বলে নয় চার ও দুই ছয়ে ৫৫ রানের অসাধারণ ইনিংস। মাত্র ৩০ বলে তিন চার ও ছয় ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মিথুন। সাব্বির টিকে ছিলেন ৩৭ রানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর