চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেশ বেকায়দায়ই ফেলে দিয়েছে আন্ডারডগ নেদারল্যান্ডস।
তাক লাগিয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠা ডাচরা এ পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দারুণভাবে ফিরে এসেছে।
প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ডাচদের দরকার ২২ রান। বল হাতে আরও ২৮টি। ক্রিকেটের একেবারেই নবীন দলটি ব্যাট করছে ১৪৬ টার্গেটে।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে ওপেন করতে আসেন স্টিফেন মিবার্গ এবং মাইকেল সোয়ার্ট। প্রথম তিন ওভারে ডাচরা বিনা উইকেটে ৩০ রান তুলেছে।
প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে নেমেছিলেন ডি কক এবং হাশিম আমলা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে সোয়ার্টের বলে মিবার্গের তালুবন্দি হন ডি কক।
এরপর হাশিম আমলা ২২ বলে ৭ চার আর এক ছয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ডু প্লেসিস টম কুপারের বলে ভ্যান বেকের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন ১৪ বলে ২৪ রান। দলীয় ৯২ রানে ডি ভিলিয়ার্স ২১ রান করে আউট হয়ে যান।
দলীয় শতক আসে ১২-তম ওভারে। দলীয় আর দুই রান যোগ হতেই অ্যালবি মরকেল ফিরে যান। আর ১২০ রানের মাথায় জেপি ডুমিনি ফিরে গেলে দ. আফ্রিকা চাপে পড়ে। অষ্টম ওভারে বাউন্ডারি হওয়ার পর সতের-তম ওভারে পরবর্তি চার আসে দ. আফ্রিকার।
ডাচদের হয়ে ৪ ওভার বল করে ফর্মের তুঙ্গে থাকা আহসান মালিক ১৯ রানে ৫ উইকেট তুরে নেন। এর আগে এই ডানহাতি সিমারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল ১৬ রানে ৩ উইকেট।
দ. আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৫ রানে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ২ রানে জয় পায়। আর নেদারল্যান্ডস সুপার টেনে তাদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৩৯ রানে অল-আউট হয়ে ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪
** ভালোই জবাব দিচ্ছে ডাচরা