ঢাকা: বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পের তৃতীয় দিন। মিরপুরে সকাল থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলন করলেন ক্রিকেটাররা।
এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা অনুশীলন শেষে আবারো সংবাদ কর্মীদের অপেক্ষা, আজকে কৌতুহল মেটাতে কারা আসবেন?
বাংলাদেশ দলের আমুদে ক্রিকেটারদের মধ্যেই সামনের সারিতেই থাকবে দুটি নাম নাসির হোসেন এবং সাব্বির আহমেদ রুম্মন। এই দুজনেই এলেন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।
দুই ক্রিকেটারেই ব্যাটিং করেন ‘লেইট মিডল অর্ডারে’ তদের মধ্যেই নিশ্চয় দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে ছিল দুজনের মধ্যে লড়াই ছিল? এই প্রশ্নের ধারাবাহিকতায় উঠে আসলো দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রশ্নটি। তখনই নাসির হোসেন জানালেন, তিনি আর সাব্বির রুম্মন প্রায় দশ বছর ধরেই বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটে এক সঙ্গে খেলেছেন, তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও খুব ভালো।
দুই বন্ধু একসঙ্গেই তুলে ধরলেন তাদের বিশ্বকাপ ভাবনাটা। কারণ দুইজনের খেলার ধরণ একই। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগেই জল্পনা কল্পনা ছিল কাকে রাখবেন নির্বাচকরা? কিন্তু নির্বাচকরা দুজনকেই রেখেছেন দলে। কিন্তু একাদশে কি দুজন একসঙ্গে জায়গা পাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর নাসির বেশ রসিকতাই করে দিলেন, বললেন, ‘আমরা দুজনেই এক সঙ্গেই খেলতে চাই, আপনারাই খালি একজনকে খেলাতে চান। ’এই বলেই হাসতে হাসতে শেষ করলেন সংবাদ সম্মেলন।
বিশ্বকাপ নিয়ে নাসির তার লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য হচ্ছে আমার পজিসনে যাতে ভালো ব্যাট করতে পারি, যাতে দলকে সাহায্য করতে পারি। আমার কাজটা ঠিকমতো করতে পারাটাই মুল লক্ষ্য। ’
অন্যদিকে সাব্বির জানালেন তার কোন ব্যক্তিগত লক্ষ্য নেই, তিনি কোন লক্ষ্য ঠিক করে খেলেন না, তবে পরিস্থিতির দাবী মেটানোই থাকবে তার প্রধান লক্ষ্য।
দ্য ফিনিশার হিসেবেই পরিচিত নাসির। যে কোন পরিস্থিতিতেই ব্যাটিং করেন বেশ ফুরফুরে মেজাজেই। কিন্তু বিশ্বকাপ বলে কথা, নিশ্চয় কিছুটা চাপে থাকবেন। কিন্তু নাসির বললেন একদমই অন্য কথা , বিশ্বকাপ বলেই আলাদা প্রেসার নেওয়া লাগবে তা নয়, আমি আর দশটা ম্যাচে যেমন খেলি তেমনই খেলব। ’
তবে সাব্বির বললেন মোক্ষম কথাটাই, আসলে অনেক কথায় বলা যায় কিন্তু মাঠে পারর্ফম করতে হবে এছাড়া কিন্তু অন্যকোন উপায় নেই। ’
নাসির এবং সাব্বির দুজনই যে পজিসনে ব্যাটিং করেন সেখানে শুরু থেকেই নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। তবে ‘লেইট মিডল অর্ডারে’ ব্যাটিংয়ের ব্যাখাটা ভালো দিলেন নাসির, ‘দেখেন আমরা এমন পজিসনে ব্যাটিং করি যেখানে ২০ রানও অনেক মুল্যবান আসলে এ সময় আমাদের ফিফটি ফিফটি চান্স থাকে। ভালো রান করলে ভালো আর খারাপ করলে কি হবে তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ’
অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো অনেক বড়। এখানে বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি থেকে রান বের করাটা অনেক কঠিন হবেই। তবে নাসির এবং সাব্বির দুজনেই জানালেন সিঙ্গেলস এবং ডাবলসের উপরই নির্ভর করে রানের চাকা সচল রাখার পরিকল্পনা করছেন তারা।
দুই বন্ধুই তুলে ধরলেন তাদের বিশ্বকাপ ভাবনা, এখন যদি তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারেন টাইগার সমর্থ্করা আরেকটি উল্লাসের উপলক্ষ্যের জন্যে অপেক্ষা করতেই পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫