ঢাকা: বিশ্বকাপের আগে একটা হতাশাজনক সিরিজই শেষ করলো ভারত। কার্লটন ত্রিদেশীয় মিড ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল নিশ্চিত করলো ইংলিশরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোনাস পয়েন্টসহ জেতার কঠিন সমীকরণ ছিল ধোনি-কোহলিদের সামনে। কিন্তু, ইংলিশ পেস তান্ডবে ধোনি-কোহলিদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। নির্ধারিত ওভার শেষ হবার আগেই মাত্র ২০০ রানে অলআউট হয় ভারত।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার ইয়ান বেল ও মঈন আলী খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি। বেল ১০ ও মঈন ১৭ রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়ে ইংলিশরা। তৃতীয় উইকেটে নেমে দলের হাল ধরেন জেমস টেইলর।
সপ্তম উইকেটে নামা জস বাটলারের সঙ্গে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ইংল্যান্ডের জয় অনেকটা নিশ্চিত করে তোলেন টেইলর। দলীয় ১৯১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টেইলর। জয় থেকে আট রান দূরে থাকতে ৬৭ রান করা বাটলার আউট হলে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে।
বাটলারের বিদায়ের পর কিছুটা নাটকীয়তা সৃষ্টি হলেও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি ইংলিশদের। শেষ পর্যন্ত ২৫ বল হাতে রেখে তিন উইকেটের জয় তুলে নেয় মরগানরা।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিনটি উইকেট লাভ করেন স্টুয়ার্ট বিনি। মোহিত শর্মা নেন দুই উইকেট।
এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এউইন মরগান। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ শুরুতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল। দুই ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৮৩ রান। ৩৮ রান করে ধাওয়ান আউট হওয়ার পরেই দৃশ্যপট বদলে যায়।
একপ্রান্ত রাহানে আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, আম্বাতি রাইডু, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ভারত। ভারতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে রাহানের ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের হয়ে পাঁচ বোলারই উইকেট লাভ করেন। সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেন স্টিভেন ফিন। এছাড়াও দু’টি করে উইকেট লাভ করেন ক্রিস উকস, স্টুয়ার্ট ব্রড ও মঈন আলী। বাকি এক উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন। এক উইকেট নিলেও ২.৬৬ ইকোনমি রেটে সবচেয়ে কম খরুচে বোলার ছিলেন অ্যান্ডারসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘন্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫
