ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১৫

জেনে নিন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ভেন্যু সম্পর্কে

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, ওয়ার্ল্ডকাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫
জেনে নিন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ভেন্যু সম্পর্কে ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের এগারোতম আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ১৪টি স্টেডিয়ামে। ভেন্যুগুলোর পরিচিতি ও পিচের আচরণ বাংলানিউজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

নিউজিল্যান্ডের ৭ টি ভেন্যুঃ
নিউজিল্যান্ডের সাতটি ভেন্যুর মধ্যে নেলসন ও ডুনেডিনের পিচ পেস বোলারদের জন্য সহায়ক হবে। বাকি ৫টি পিচ ব্যাটিংয়ের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত। এসব পিচে স্পিনাররা তেমন সহায়তা পাবেন না। এসব পিচে খেলা উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য কঠিন হবে। রীতিমতো সংগ্রাম করতে হবে এশিয়ার দলগুলোকে। নিউজিল্যান্ডের পিচে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ভালো সুবিধা পাবে। সাতটি ভেন্যু সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।

ইডেনপার্ক,অকল্যান্ডঃ
অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।   ১৯০০ সালে এ স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয়। এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৫০ হাজার। অকল্যান্ডে তিনটি পিচ রয়েছে। পিচ স্পিন সহায়ক হবে। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা ভালো সুবিধা পাবে। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৪০ (নিউজিল্যান্ড) ।

এ ভেন্যুতে প্রথম সেমিফাইনালসহ ৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত বনাম জিম্বাবুয়ে।

স্যাডন পার্ক, হ্যামিলটনঃ
স্যাডন পার্ক নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ বৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ ওভাল গ্রাউন্ড। ১৯৫০ সালে এ স্টেডিয়াম যাত্রা শুরু করে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড জন স্যাডনের নামানুসারে এ স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। এ স্টেডিয়ামে ৯টি পিচ রয়েছে। এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩০ হাজার।

এ ভেন্যুর পিচ সব সময় ব্যাটিং সহায়ক। এক কথায় বলা যায় ব্যাটিং স্বর্গ। বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্নের মাঠ। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৬৩ ।

এ স্টেডিয়ামে তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম জিম্বাবুয়ে, ভারত বনাম আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ।

ম্যাকলিয়ান, নেপিয়ারঃ
নেপিয়ারে অবস্থিত ম্যাকলিয়ান স্টেডিয়ামে দু’ধরণের খেলা হয়। রাগবি ও ক্রিকেট। ১৯১১ সালে এ স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ২২ হাজার।

এ স্টেডিয়ামের পিচ উপমহাদেশের পিচের মত কিন্তু এটার আউটফিল্ড খুব দ্রুত এবং ঘাসে ভরা। পিচ স্পিন সহায়ক । তবে ব্যাটসম্যানরাও সুবিধা পাবে। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৭৩।

এ স্টেডিয়ামে তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ওয়েলিংটনঃ
নিউজিল্যান্ডের এ মাঠটি স্থানীয়ভাবে ‘দি কেক টিন’ নামে পরিচিত। এই নামে ডাকার কারণ হল, এটির চারপাশ দেখতে সিলভার রংয়ের মত। এটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৬ হাজার। এ স্টেডিয়াম ২০০০ সালের ৩ জানুয়ারি আর্ন্তজাতিক খেলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

এ ভেন্যুর পিচ ব্যাটিং সহায়ক। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩২২ (অস্ট্রেলিয়া)।

চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালসহ এ বিশ্বকাপের ৪টি খেলা এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল-ইংল্যান্ড বনাম নিউ জিল্যান্ড, ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং  চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল।

সেক্সটন ওভাল, নেলসনঃ
নিউজিল্যান্ডের এ স্টেডিয়ামটিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি । ম্যাচটি ছিল নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার।

এ ভেন্যুর পিচ পেসারদের জন্য সহায়ক। বাউন্সি পিচ হওয়ায় পেসাররা ভালো সহায়তা পাবে। এ মাঠের সর্বোচ্চ দলীয় রান ২৮৫।

এ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম আয়ারল্যান্ড, আরব আমিরাত বনাম জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ড।

ইউনিভার্সিটি ওভাল, ডুনেডিনঃ
নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিন স্টেডিয়ামটি খুবই ছোট। গ্যালারি নেই। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৩ হাজার, তবে ৬০০০ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারে। ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে এ স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে খেলা শুরু হয়।

পিচে ঘাস রয়েছে। পিচ পেসারদের সহায়ক। ডুনেডিনের পিচকে পেসারদের জন্য স্বর্গ বলা হয়। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ২৪৮ (নিউজিল্যান্ড)।

এ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল-নিউজিল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড, শ্রীলংকা বনাম আফগানিস্তান এবং আফগানিস্তান বনাম স্কটল্যান্ড।

হাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চঃ
নিউজিল্যান্ডের এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২০ হাজার। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে এ স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি এ মাঠে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি ছিল কানাডা বনাম স্কটল্যান্ড এর মধ্যে।

এ ভেন্যুর পিচ বাউন্সি। পেসারদের জন্য সহায়ক। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৪১।

উদ্বোধনী ম্যাচটিসহ এ মাঠে বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে । এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো হল-নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলংকা, পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার ৭ টি ভেন্যুঃ
অস্ট্রেলিয়ার সাতটি ভেন্যুর সবগুলোর পিচেই ভালো সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে যারা পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভালো ব্যাট করেন। অস্ট্রেলিয়ান পিচগুলো ড্রপিং পিচ। এতে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি গতি মানবরা ভালো সুবিধা পাবেন। পেসাররা লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে জোরে বল করতে পারলে ব্যাটসম্যানরা কুপোকাত হবে। অস্ট্রেলিয়ান পিচগুলো হল-

বেলেরিভ ওভাল, হোবার্টঃ
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া এলাকায় অবস্থিত হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল স্টেডিয়ামটি ১৯১৪ সালে খেলার জন্য উন্মুক্ত হয়।   দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১৬ হাজার ২’শ জন। তবে ২০ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারেন। পিচে ঘাস আছে। প্রথমে হোর্বাটের পিচ বোলারদের জন্য সহায়ক ছিল, বিশেষ করে পেসারদের জন্য। বর্তমানে এ পিচ ব্যাটিং সহায়ক, তবে স্পিনাররা এতে সুবিধা পাবে। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৪৪ (অস্ট্রেলিয়া)।

এ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- আয়ারল্যান্ড বনাম জিম্বাবুয়ে, শ্রীলংকা বনাম স্কটল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া বনাম স্কটল্যান্ড।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সিডনিঃ
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি) বিশ্বের বৃহৎ স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে একটি। এটি ১৮৫৪ স্থাপিত হয়। এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪৮ হাজার। ১৯৭৯ সালের ১৩ জানুয়ারি এ মাঠে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি ছিল অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে।   ১৮৮২  সালের ২১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যেকার টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে এ স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয়।

এর পিচ ব্যাটিং সহায়ক। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৬৮ (অস্ট্রেলিয়া)।

প্রথম কোয়ার্টার এবং ২য় সেমিফাইনাল ম্যাচসহ এ মাঠে বিশ্বকাপের ৫ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল-দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলংকা, আফগানিস্তান বনাম ইংল্যান্ড,  প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ২য় সেমিফাইনাল।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্নঃ
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব মেলবোর্নের ইয়ারা পার্কে এ স্টেডিয়ামটি ১৮৫৪ সালে উন্মুক্ত করা হয়। ১৮৭৭ সালে এ মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি ছিল অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। এ মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লক্ষ ২৪ জন। তবে ১৯৭০ সালে ভিএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালে চার্লটন বনাম কলিংউডের মধ্যকার খেলায় এ মাঠে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৬৯৬ জন দর্শক খেলা দেখেছিল।

পিচ স্পোর্টিং উইকেট সহায়ক। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৪৪ (বিশ্ব একাদশ)।

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ও ফাইনালসহ  ৪ টি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল-ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা, দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ও ফাইনাল।

এ্যাডিলেড ওভাল, এ্যাডিলেডঃ
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডিলেডে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামটি  ১৮৭১ সালে চালু করা হয়। এর দর্শক ধারণক্ষমতা সাড়ে ৫৩ হাজার। এ ভেন্যুতে ৬টি পিচ রয়েছে। পিচ ব্যাটিং সহায়ক।
 
বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালসহ চারটি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খেলাগুলো হল- ভারত বনাম পাকিস্তান, ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড বনাম পাকিস্তান এবং তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল।

দ্য গাব্বা, ব্রিসবেনঃ
অস্ট্রেলিয়ার কুইনল্যান্ডের ওলন গাব্বাতে অবস্থিত ব্রিসবেন স্টেডিয়ামটি  ১৮৯৫ সালে খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৩১ সালের ২৭ নভেম্বর প্রথম টেস্ট ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা) এবং ১৯৭৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত) অনুষ্ঠিত হয়। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার। ব্রিসবেনের পিচ প্রথমে বোলারদের জন্য সহায়ক ছিল। এ পিচ এখন ব্যাটিং সহায়ক।

বিশ্বকাপের ৩ টি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- আয়ারল্যান্ড বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান বনাম জিম্বাবুয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া বনাম বাংলাদেশ।

ওয়াকা গ্রাউন্ড, পার্থঃ
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব পার্থে এ স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। ১৮৯০ সালে এ স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা সাড়ে ২৪ হাজার। এ স্টেডিয়ামে ১৯৭০ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম টেস্ট ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড) এবং ১৯৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড) অনুষ্ঠিত হয়।

পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ড বিশ্বের দ্রুতগামী পিচ হিসেবে পরিচিত। এ পিচ ফাস্ট বোলারদের জন্য সহায়ক। এক ইনিংসে মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩৪৩ (অস্ট্রেলিয়া)।

বিশ্বকাপের ৩ টি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- ভারত বনাম আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান  এবং ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মানোকা ওভাল, ক্যানবেরাঃ
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামটি খেলার জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯২৯ সালে। এ মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ১৩ হাজার ৫৫০ জন। তবে ২০০৬ সালে ক্যাংগারোস বনাম সিডনি সোয়ানসের মধ্যে খেলাটিতে এ মাঠে ১৪ হাজার ৯২২ জন দর্শক উপস্থিত ছিল। এ ভেন্যুর পিচ ব্যাটিং সহায়ক। এ মাঠের সর্বোচ্চ রান ৩২৯ (অস্ট্রেলিয়া)।

বিশ্বকাপের ৩ টি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হল- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম জিম্বাবুয়ে  এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আয়ারল্যান্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।