ঢাকা: বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে দু’শো রানের কোটা পার হওয়ার পর সাজঘরে ফিরলেন ৩৯ বলে ৩৬ রান করা মুশফিকুর রহিম। লাকমলের বলে বোল্ড হন তিনি।
৪০.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান। ক্রিজে ২৯ রানে ব্যাট করছেন সাব্বির। শেষ ৫৮ বলে জিততে হলে আরও ১২৫ রান করতে হবে।
লংকানদের বেধে দেওয়া ৩৩৩ রানের টার্গেটে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। তবে, ইনিংসের দ্বিতীয় বলে তামিমকে শূন্য রানে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান লাসিথ মালিঙ্গা।
বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ফিরলেও তিন নম্বরে নামা আরেক বাঁহাতি সৌম্য সরকার টাইগারদের রানের চাকা সচল রাখেন। চতুর্থ ওভারে লাকমলকে পরপর তিনবার সীমানা ছাড়া করেন সৌম্য। তবে, খুব বেশিদূর যেতে পারেননি সৌম্য। ১৫ বলে ২৫ রান করে ম্যাথুজের বলে উইকেটের পিছনে সাঙ্গাকারার হাতে ধরা পড়েন তিনি।
তামিম, সৌম্য ফিরলে ব্যাটিং ক্রিজে আসেন মমিনুল হক। সপ্তম ওভারে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। লাকমলের বলে জয়াবর্ধনের তালুবন্দি হন মমিনুল (১ রান)।
দলীয় ৪১ রানের মাথায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং ওপেনার বিজয়। তবে, ১৬তম ওভারে গিয়ে রানআউটের শিকার হন ৪৩ বলে এক চার আর এক ছয়ে ২৯ রান করা বিজয়।
বিজয়ের আউটের পর ব্যাটিং ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের সঙ্গে মাত্র ১৬ রানের জুটি গড়ে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ দলীয় ১০০ রানের মাথায় পেরেরার বলে হেরাথের তালুবন্দি হন।
দলীয় শত রানে ৫ উইকেট হারানোর পর টাইগারদের আশার আলো দেখায় সাকিব-মুশফিক জুটি। এ দুই ব্যাটসম্যান ৬৪ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে (৫৯ বলে চারটি চার আর একটি ছয়) সাকিব আউট হন।
পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল তিন উইকেট হারিয়ে ৬০ রান। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান। আর ৩০ ওভার শেষে ৫ উইকেট খুঁইয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৪৫ রান।
এর আগে টস হেরে ক্যাচ মিসের মহড়া দিয়ে আর বাজে ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ তৈরি করে টাইগাররা লংকানদের বড় সংগ্রহ গড়তে বারবার সুযোগ দেয়। আর সে সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ৩৩২ রান করে শ্রীলংকা।
দলীয় ১২২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দিলশান আর সাঙ্গাকারা মিলে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের জুটি গড়েন। দিলশান ১৬১ রানে আর সাঙ্গাকারা ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আরেক ওপেনার থিরামান্নে করেন ৫২ রান।
বিশ্বকাপের আসরে দুইবারের মুখোমুখি দেখায় দুটি ম্যাচই জিতেছে লংকানরা। আর ৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলংকার জয় ৩২টি, বাংলাদেশের জয় ৪টি, বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
** আশা জাগিয়ে সাকিবের বিদায়
** টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়
** রান আউটে কাটা বিজয়-রিয়াদ জুটি
** বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা টাইগারদের
** তামিম, সৌম্যর পর ফিরলেন মমিনুলও
** ব্যাটিংয়ে নেমেই বিদায় তামিমের
** টাইগারদের সামনে ৩৩৩ রানের টার্গেট
** তিন অংকের ঘরে দিলশান
** বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত লংকান বাহিনীর
** উইকেটের অপেক্ষায় টাইগাররা
** রুবেল এনে দিলেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক-থ্রু
** রান বাড়ছে লংকানদের
** দারুণ বোলিং করছেন মাশরাফি
** মাশরাফির গোলায় বিপাকে থিরামান্নে
** লংকা বধে বোলিংয়ে মাশরাফি বাহিনী
** টসে হেরে বোলিংয়ে টাইগাররা
** লংকান বাধা পেরোতে প্রত্যয়ী টাইগাররা