পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সোহেল খানের বলে ম্যাচের ৩৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। এরপরই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা।
নিয়মিত বিরতিতে আইরিশদের সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে বড় সংগ্রহের পথ বন্ধ করে দেন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলাররা।
অধিনায়কের সাজঘরে ফেরার পর ম্যাচের ৪১তম ওভারে সোহেল খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসন। এরপর আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন পাকিস্তানি পেসার রাহাত আলি। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে থমসনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি।
এরপর অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান কেভিন ও’ব্রায়েন। ৪৮তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে আবারও আঘাত হানেন রিয়াজ। জন মুনিকে আউট করে নিজের তৃতীয় এবং আইরিশদের ৯ম উইকেট তুলে নেন তিনি।
৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বল শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করেছে আয়ারল্যান্ড।
এর আগে ম্যাচের ৩০তম ওভারে হারিস সোহেল তুলে নেনে আইরিশদের চতুর্থ উইকেট। ওভারের চতুর্থ বলে আইরিশ ব্যাটসম্যান বালবার্নি শহীদ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
স্কোরবোর্ডে শতরান পূর্ণ না হতেই তিন উইকেট হারায় আইরিশরা। দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার স্টারলিংয়ের উইকেট হারালেও জয়েসকে সঙ্গে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন পোর্টারফিল্ড। দলীয় ৫৬ রানে ওহাব রিয়াজের বলে ব্যক্তিগত ১১ নারে ফিরে যান জয়েস। ফলে দুই উইকেটে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৬।
এরপর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেল ওব্রায়েন ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১২ রান করে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় রাহাত আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
ওপেনিং স্পেলে বোলিং করতে তৃতীয় ওভারের ৩ নম্বরে বলে স্টারলিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাদেঁ ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান আদিল।
টসে জিতে আয়াল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন পোর্টারফিল্ড এবং স্টারলিং। আর পাকিস্তানের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেন সোহেল খান।
রোববার (১৫ মার্চ ) অ্যাডিলেড ওভালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পুল ‘বি’তে থাকা পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে।
বিশ্বকাপের ৪২তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ আট নিশ্চিত করলেও পুল ‘বি’ থেকে শেষ আটের টিকিট পেতে শেষ ম্যাচ অবধি অপেক্ষা করতেই হচ্ছে তাদের।
পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড পেয়েছে ছয় পয়েন্ট করে। পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে যে দলই জিতুক রান রেটে চোখ থাকবে উভয় দলেরই।
২০০৭ বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। এ ম্যাচেও সেরকম কিছু ঘটিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করতে চায় আইরিশরা। অন্যদিকে পাকিস্তান দল সেরাটা খেলে প্রত্যাশিত জয়ে খুলতে চায় শেষ আটের দরজা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫
** সাত উইকেট নেই আইরিশদের
** পোর্টারফিল্ডের পর সাজঘরে উইলসন
** শতক হাঁকিয়ে সাজঘরে পোর্টারফিল্ড
** পোর্টারফিল্ডের শতক, সচল রানের চাকা
** সাজঘরে আইরিশদের চার ব্যাটসম্যান
** পোর্টারফিল্ডের ব্যাটে এগুচ্ছে আইরিশরা
** ফিরলেন ওব্রায়েন, পোর্টারফিল্ডের অর্ধশতক
** জয়েসকে ফেরালেন ওহাব রিয়াজ
** প্রথম পাওয়ার প্লে’তে আইরিশদের সংগ্রহ ৪৭/১
** শুরুতেই আদিলের আঘাত, ফিরলেন স্টালিং
** কোয়ার্টারে ওঠার ব্যাটিংয়ে আইরিশরা
** শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড