ওপেনিং জুটিতে ১২০ রানের পার্টনাশিপ গড়ে দলকে শক্ত ভাল সূচনা করে দিয়েছিলেন শেহজাদ-সরফরাজ। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে শেহজাদ ফিরে গেলেও সরফরাজ-মিজবাহ আবারও একটা ভাল জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাঝে হারিস সোহাইল রান আউট হয়ে গেলেও দলে সেটা তেমন একটা প্রভাব ফেলতে দেয়নি সরফরাজ-মিসবাহ জুটি। ওপেনার সরফরাজ ৭৬ রান নিয়ে এবং মিসবাহ ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
পাকিস্তানের ইনিংসের ভাল সূচনা করে দলীয় ১২০ রানের প্রথম এবং ১২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলো। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে শেহজাদ এবং ৩ রানে হারিস সোহাইল রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন।
শুরুটা কিছুটা সাবধানী হলেও ক্রিজে সেট হয়ে অনেকটাই হাত খুলেই খেলছেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ এবং সরফরাজ আহমেদ। দুই ওপেনারই তুলে নিয়েছেন নিজেদের অর্ধশতক।
৫৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সরফরাজ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসছেন হারিস সোহাইল। ৩৪ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয় পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৭৮ রান।
কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে জয় নিশ্চিত করতে হবে উভয় দলকেই। আইরিশদের দেওয়া ২৩৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নেমেছে পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ এবং সরফরাজ আহদেম। আইরিশদের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেত এসেই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের প্রথম ওভারে কোনো রান নিতে দেননি এলেক্স কুসাক।
এর আগে অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টার ফিল্ডের দায়িত্বশীল শতকের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে পাকিস্তানকে ২৩৮ রানে টার্গেট দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সোহেল খানের বলে ম্যাচের ৩৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। এরপরই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা। বাকি ওভারগুলোতে মাত্র ৫৫ রান যোগ করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারায় আইরিশরা।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে আইরিশদের সাজঘরে ফিরতে থাকে আইরিশরা। পাকিস্তানি পেসাররা বড় সংগ্রহের পথে বারবার বাধা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৩৭ রানেই গুটিয়ে দেয় আইরিশদের।
অধিনায়কের সাজঘরে ফেরার পর ম্যাচের ৪১তম ওভারে সোহেল খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসন। এরপর আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন পাকিস্তানি পেসার রাহাত আলী। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে থমসনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি।
এরপর অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান কেভিন ও’ব্রায়েন। ৪৮তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪৯তম ওভারের ২য় বলে মনিকে ফিরিয়ে ওহাব রিয়াজ নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন। একই ওভারের শেষ বলে ডকরেলকে রান আউট করে আইরিশদের স্কোর বোর্ড থামিয়ে দেন।
এর আগে ম্যাচের ৩০তম ওভারে হারিস সোহেল তুলে নেনে আইরিশদের চতুর্থ উইকেট। ওভারের চতুর্থ বলে আইরিশ ব্যাটসম্যান বালবার্নি শহীদ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
স্কোরবোর্ডে শতরান পূর্ণ না হতেই তিন উইকেট হারায় আইরিশরা। দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার স্টারলিংয়ের উইকেট হারালেও জয়েসকে সঙ্গে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন পোর্টারফিল্ড। দলীয় ৫৬ রানে ওহাব রিয়াজের বলে ব্যক্তিগত ১১ নারে ফিরে যান জয়েস। ফলে দুই উইকেটে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৬।
এরপর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেল ওব্রায়েন ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১২ রান করে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় রাহাত আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
ওপেনিং স্পেলে বোলিং করতে তৃতীয় ওভারের ৩ নম্বরে বলে স্টারলিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাদেঁ ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান আদিল।
টসে জিতে আয়াল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন পোর্টারফিল্ড এবং স্টারলিং। আর পাকিস্তানের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেন সোহেল খান।
রোববার (১৫ মার্চ ) অ্যাডিলেড ওভালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পুল ‘বি’তে থাকা পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে।
বিশ্বকাপের ৪২তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫
** পাকিস্তানের দুই উইকেট পতন
** দুই ওপেনারের অর্ধশতকে পাকিস্তানের শতক পার
** মারমুখি পাকিস্তানি ওপেনাররা
** সতর্ক ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার
** ২৩৮ টার্গেটে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
** কোয়ার্টারে যেতে পাকিস্তানের টার্গেট ২৩৮
** ৯ উইকেট নেই আইরিশদের
** সাত উইকেট নেই আইরিশদের
** পোর্টারফিল্ডের পর সাজঘরে উইলসন
** শতক হাঁকিয়ে সাজঘরে পোর্টারফিল্ড
** পোর্টারফিল্ডের শতক, সচল রানের চাকা
** সাজঘরে আইরিশদের চার ব্যাটসম্যান
** পোর্টারফিল্ডের ব্যাটে এগুচ্ছে আইরিশরা
** ফিরলেন ওব্রায়েন, পোর্টারফিল্ডের অর্ধশতক
** জয়েসকে ফেরালেন ওহাব রিয়াজ
** প্রথম পাওয়ার প্লে’তে আইরিশদের সংগ্রহ ৪৭/১
** শুরুতেই আদিলের আঘাত, ফিরলেন স্টালিং
** কোয়ার্টারে ওঠার ব্যাটিংয়ে আইরিশরা
** শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড