চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলায় উইকেট শিকারীর তালিকায় পেসারদেরই আধিপত্য বেশি। সেরা পাঁচ বোলারের পাঁচজনই গতি তারকা।
বাংলাদেশের দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উইকেটে আলো ছড়ালেও, সেরা দশে ঠাঁই পাননি। পাঁচ ম্যাচে রুবেল ৭টি আর মাশরাফি ৪ ম্যাচে নেন ৬টি করে উইকেট।
দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের সাত ব্যাটসম্যানকে আউট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিসবেনের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে বাংলাদেশের রুবেল-সাকিবদের উইকেট অবশ্য আরও বাড়তে পারত।
সেরা দশে নিউজিল্যান্ডের বোলার আছেন ৩ জন। ভারতের ২ জন এবং অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার ১ জন করে বোলার সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন।
১৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে আছেন মিচেল স্ট্যার্ক। অস্ট্রেলিয়ার এই বোলার সবচেয়ে বেশি আগুন ঝরিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে। অকল্যান্ডের ওই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ছয় ব্যাটসম্যানকে আউট করতে মাত্র ২৮ রান খরচ করেন স্ট্যার্ক। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তবে গতিঝড় তোলার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের চার ব্যাটসম্যানকে আউট করে তালিকায় শীর্ষে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
ভারতের বোলিং লাইনআপ দুর্বল বলে সবসময় সমালোচনা হলেও, এবার মোহাম্মদ সামি সেই সমালোচনার জবার দিয়েছেন। পাঁচ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। ভারতের টানা ছয় জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান রাখেন তিনি।
মাত্র ১৬ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপের একাদশ আসরে খেলতে নেমে সুইং আর নিখুঁত লাইন লেন্থের বলে নজর কেড়েছেন স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের পেস তারকা ট্রেন্ট বোল্ট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা এই ডানহাতি পেসারের বিধ্বংসী রূপটা এখন পর্যন্ত বেশি দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের পাওয়া শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের ম্যাচে পেস তোপে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। ছয় ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে শেষ আটে পা রাখছেন ২৫ বছর বয়সী এই কিউই পেসার।
স্কটল্যান্ড আইসিসির সহযোগী দেশ হলেও, দলটির জশ ডেভি উইকেট শিকারের তালিকায় অনেক বাঘা বাঘা বোলারকে পেছনে ফেলেছেন। ছয় ম্যাচে ১৫ উইকেট এই ডানহাতি পেসারের। স্কটল্যান্ড ছয় ম্যাচের ছয়টিতে হারলেও ডেভি ছিলেন আপন আলোয় উজ্জ্বল। দল বিদায় নেয়ায় ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ড ম্যাচের ৪/৬৮ বোলিং ফিগারই এবারের আসরে ডেভির সেরা হয়ে থাকল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণভাগের দায়িত্ব এবারের আসরে বলতে গেলে জেরোম টেইলর একাই টেনেছেন। ডানহাতি এই পেসার ১৪ উইকেট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন। বিশ্বকাপের একাদশ আসরে খেলা ছয় ম্যাচের মধ্যে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিডনির ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি; বাকি পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বুকে ঠিকই কাঁপন ধরান টেইলর।
সেরা দশে থাকা বাকি পাঁচ বোলার হলেন- ওয়াহাব রিয়াজ, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, মর্নে মরকেল, টিম সাউদি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
পাকিস্তানের পেসার রিয়াজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেইলরের মতো ১৪ উইকেট পেলেও বেশি রান দিয়ে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন।
তালিকায় সপ্তম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ভেট্টোরি ছয় ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মরকেল ও নিউ জিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিও পেয়েছেন ১৩ উইকেট। ছয় ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সেরা দশে দশম ভারতের স্পিনার অশ্বিন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫
** প্রতিপক্ষ ভারত বলেই স্বপ্নটা বড়!