ঢাকা: সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান থেকে উড়ে এসেছিলেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই হেরে যাওয়া সফরকারী পাকিস্তানের ওয়ানডে দলটিকে আগলে রেখে বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, ওয়ানডে দলটিকে আরও সময় দিতে হবে।
টি-টোয়েন্টি দলটি টাইগারদের থেকে ফেভারিট এমনটিও বলেছিলেন ‘বুমবুম’ আফ্রিদি। ওয়ানডে দলের থেকে তার টি-টোয়েন্টি দলটিকে এগিয়েও রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সফরকারীদের। টাইগারদের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত পাকিস্তান ওয়ানডে দলের মতো একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও বিশাল ব্যবধানে হারে আফ্রিদি বাহিনী।
ওয়ানডের দলপতি আজহার আলির মতো আফ্রিদির নেতৃত্ব নিয়েও এরপর খোদ পাকিস্তানের সাবেক গ্রেট ক্রিকেটাররা সমালোচনা করেন। চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে দলটিকে দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে বাজে দল হিসেবে আখ্যা দেন অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেট পণ্ডিত।
এতোকিছুর পরও আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘ওয়ানডে দলটিতে রয়েছে নতুন ও প্রতিভাবান কিছু ক্রিকেটার। তাদের সুযোগ করে দিতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সরে দাঁড়ানো উচিৎ। ’
টেস্ট থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন আরও আগেই। এরপর সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থ মিশন শেষে ওয়ানডেকেও গুডবাই জানান আফ্রিদি। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এ সংস্করণ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেবেন। ’
কিন্তু আর বোধ হয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে চাইছেন না এ পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা। ৩৫ বছর বয়সী আফ্রিদি বলেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের এখন দুঃসময় চলছে। ভবিষ্যতে একটি ভালো দল চাইলে এখনই সময় সিনিয়রদের সরে দাঁড়ানো। আমি নিজেও যদি দলের বোঁঝা হয়ে থাকি, তবে পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলে নয়, এখনই আমি অবসর নিতে চাই। ’
এখন দেখার বিষয় সিনিয়র বলতে আফ্রিদি কাদের বুঝিয়েছেন। সেই ‘সিনিয়র’দের তালিকায় কি তিনি নিজেও রয়েছেন!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ২৮ এপ্রিল ২০১৫
এমআর