ঢাকা: আবারও মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দুই বছর পর আবারও আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ঘরোয়া এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে সোমবার (০৫ অক্টোবর) বেশ কিছু খসরা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর বিসিবি’র বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য খসরা গুলো তুলে ধরা হবে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা তার নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, এএইচ মল্লিক।
উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানো হয়, এবারের আসরটি নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তাবিত তারিখ ধরা হয়েছে ১৯ নভেম্বর। তৃতীয় আসরের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াতে পারে ২১ নভেম্বর। তবে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ আগেই অনুষ্ঠিত হলে সে অনুযায়ী তারিখ দুই-একদিন এদিক-ওদিক হতে পারে।
এবারের আসরের জন্য বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে জানানো হয়, বিদেশি ক্রিকেটারদের ‘প্লেয়ার বাই চয়েজের’ তারিখ ধরা হয়েছে ৩১ অক্টোবর। যেখানে দেশি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বেস প্রাইজ হিসেবে বিদেশিদেরও নিলাম হবে।
গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৃতীয় আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেস প্রাইজ (সর্বনিম্ন) ধরা হয়েছে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সর্বোচ্চ মূল্য প্রস্তাব করা হয়েছে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশি ক্রিকেটারদের প্রারিশ্রমিক হিসেবে বেস প্রাইজ (সর্বনিম্ন) ধরা হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ টাকা। আর সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিরাপত্তার বিষয়টি কালো মেঘের মতো ছেয়ে গেছে। আসন্ন টুর্নামেন্টে নিরাপত্তা ইস্যু কোনো বাজে প্রভাব ফেলবে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিং থেকে জানানো হয়, আমরা নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কিছু ভাবছি না। সব কিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। টুর্নামেন্টে নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো চাপ পড়বে না। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তারাও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। এ আসরে খেলতে তারা রাজি।
এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র তত্ত্বাবধানে ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরটি বসেছিল। এরপর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আসর। তবে, দ্বিতীয় আসরের ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে বন্ধ হয়ে যায় বিপিএল। ফলে, ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হয়নি। এছাড়া ছিল বকেয়া পরিশোধ না করার বিষয়টি।
তবে, সব কিছু ছাপিয়ে ফের মাঠে গড়াতে যাচ্ছে হাইভোল্টেজ এ টুর্নামেন্টটি।
বিপিএল এর তৃতীয় আসরের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে:
মিডিয়াকম (বেক্সিমকো গ্রুপ), দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড (ডিবিএল), এক্সিওম টেকনোলজি, আই স্পোর্টস (ফ্লোরা টেলিকম), রয়্যাল স্পোর্টিং লিমিটেড এবং আলিফ গ্রুপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর ২০১৫
এসকে/এমআর