ঢাকা: গত মৌসুম থেকে জাতীয় লিগে রাজত্ব করে চলেছেন ১৯ বছরের তরুণ ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এ অধিনায়ক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি।
অনবদ্য এ পারফরম্যান্সের কারণে এবার ডাক পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। সফরে রয়েছে বেশ কয়েকটি একদিনের, তিনদিনের ও একটি চারদিনের ম্যাচ। ঘরোয়া লিগে পারফরম্যান্সের এমন ধারা বিদেশ সফরেও দেখাতে চান মোসাদ্দেক। কন্ডিশন ভিন্ন হলেও সাহস হারাচ্ছেন না আগামীর এ তারকা। দলের সেরা পারফরমার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘এ’ দলের হয়ে সফরে যাবেন মোসাদ্দেক।
রোববার (১১ অক্টোবর) মিরপুরে শুরু হয়েছে ‘এ’ দলের অনুশীলন ক্যাম্প। একাডেমি মাঠে অনুশীলন সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এ ক্রিকেটার। সফরে নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করছেন। এখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন, পুরো ট্যুরটাকে কিভাবে দেখছেন?
মোসাদ্দেক: আসলে আমি ঘরোয়া লিগ শেষ করার পর (দুই ম্যাচ) নির্বাচকরা ফোন দিয়ে জানান, তুমি ‘এ’ টিমের সঙ্গে যাচ্ছ। আমার চেষ্টা থাকবে ঘরোয়া লিগে যে পারফরম্যান্স ছিল তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। সুযোগ পেলে ভালো খেলবো, ইনশাল্লাহ।
প্রশ্ন: নতুন একটা পরিবেশে যাচ্ছেন। ওখানে নিজেকে প্রমাণ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে কিনা?
মোসাদ্দেক: আসলে এর আগে আমি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে খেলেছি। দেশের বাইরের উইকেট সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা আছে। মাঝখানে আমার একটা গ্যাপ ছিল। বাইরে কোথাও ট্যুরে যেতে পারিনি। মনে হচ্ছে এবার একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ, কঠিন উইকেট, আবহাওয়াও কঠিন থাকবে। ঘরোয়া লিগের মতো এমন উইকেট পাব না, কঠিন কন্ডিশন থাকবেই। এটা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে আমার। চেষ্টা করতে হবে ওই কন্ডিশনে ভালো খেলা।
প্রশ্ন: এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এ খেলেছেন। সেটির অভিজ্ঞতা কি কাজে লাগবে এই সফরে?
মোসাদ্দেক: অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আমি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুর করেছি। ওখানকার ঠান্ডা আবহাওয়ায় উইকেট সাধারণত পেস-সহায়ক হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় এটাই আমার প্রথম সফর। এই ট্যুর নিয়ে নতুন করে একটা পরিকল্পনা আছে। দলের সেরা পারফরমার যেন হতে পারি। এ রকম একটা টার্গেট আমার মধ্যে আছে।
প্রশ্ন: ‘এ’ দলে পারফর্ম করা মানে জাতীয় দলে ঢোকার একটা পথ তৈরি হওয়া। জাতীয় দলে ঢোকার ব্যাপারে আপনার কাছে কতটুকু চ্যালেঞ্জ মনে হয় সফরটা?
মোসাদ্দেক: আসলে আমি সরাসরি যদি জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করি সেটা আমার জন্য ভুল হবে। চিন্তা থাকবে আমি যে ট্যুরটাতে যাচ্ছি সেটাতে ভালো করা নিয়ে। ট্যুরটাতে ভালো করলে জাতীয় দলে চলে আসবো, ইনশাল্লাহ। এটার জন্য নির্বাচকরা আছেন, ওনারা ভালো বলতে পারবেন। আমার কাজ পারফর্ম করা, আমি সেটা করতে থাকি। বাকিটা ওনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
প্রশ্ন: নেটে দেখলাম আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করতে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে না তিনদিনের ম্যাচকে ফোকাস করছেন?
মোসাদ্দেক: আসলে ও রকম কিছু না। ন্যাচারাল ক্রিকেটটা খেলবো, সেটা যে ফরম্যাটেই হোক। সেটা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিও হতে পারে। আমি আমার ন্যাচারাল খেলা থেকে বের হবো না।
প্রশ্ন: উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিনে খুব ভালো খেলে। যতটুকু দেখেছি আপনিও স্পিনে ভালো খেলেন। ওখানে তো বাউন্সি উইকেট থাকবে। সেখানে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
মোসাদ্দেক: স্পিনে আমি খুব ভালো। কিন্তু পেস অ্যাটাকে আমি যে খুব খারাপ সেটা বলবো না। আমার যেসব জায়গায় ত্রুটি আছে, সেসব জায়গায় হয়তো মাস্টার হতে পারবো না। তবে ম্যানেজ করার মতো ক্ষমতা আমার রাখতে হবে। আমি সেটার উপরই প্র্যাকটিস করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ১১ অক্টোবর ২০১৫
এসকে/এমআর