ঢাকা: তিন তিনবার স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে সে পথে হাঁটেননি নিউজিল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক।
লন্ডনের সাউদার্ন ক্রাউন আদালতে সাবেক কিউই অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নসের মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়েই ম্যাককালামের মুখ থেকে অজানা তথ্যগুলো বের হয়। এর আগে লু ভিনসেন্টও কেয়ার্নসের স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যান ললিত মোদি অনেক আগেই কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু ২০১২ সালে লন্ডনের আদালতে উল্টো মোদির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন কেয়ার্নস। শুনানি শেষে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ডলার পান সাবেক কিউই তারকা।
কিন্তু, পরবর্তীতে কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের তদন্তেই তা বেরিয়ে আসে। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। যা এখন পর্যন্ত বিরাজ করছে।
২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রথম আসরের আগে ম্যাককালামকে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর প্রলোভন দেখান কেয়ার্নস। নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে তখন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন ম্যাককালাম।
আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য প্রদানকালে এসব কথাই তুলে ধরেন ম্যাককালাম। কেয়ার্নসও সে সময় উপস্থিত ছিলেন। কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘কেয়ার্নস আমাকে ফোন করে বলেছিলেন আমার জন্য একটা ব্যবসায়িক প্রস্তাব আছে। পরে সে আমার সঙ্গে কলকাতাতেই দেখা করে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়ানোর প্রস্তাব দেয়। প্রথম ভেবেছিলাম সে হয়তো রসিকতা করছে। কিন্তু তার সিরিয়াসনেস দেখে আমি রীতিমত অবাক হয়েছিলাম। তবে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হইনি। পরে সে আমাকে আরো দু’বার এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। ’
স্পট ফিক্সিং করার জন্য কেয়ার্নস ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল বলেও দাবি করেন ম্যাককালাম। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কি কারণে তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেননি আইনজীবির এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাককালামের উত্তর, ‘কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করতে চাইনি বলেই ব্যাপারটি নিজের মধ্যেই রাখি। তাছাড়া আমি তো আর ওই পথে পা বাড়াইনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
আরএম