ঢাকা: নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গড়াচ্ছে অলস্টার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যার মূল ভাবনা ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার এবং অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের।
আধুনিক অলিম্পিক গেমসের আসর শুরু হয় ১৮৯৬ সাল থেকে। তবে, অলিম্পিকের আসরে ক্রিকেট খেলা হয়েছিল ১৯০০ সালে। সেবারই প্রথম ও শেষ ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকসের জমজমাট টুর্নামেন্টে। চারটি দল নিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও টুর্নামেন্টের আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস। প্যারিস অলিম্পিকের সে আসরে ব্রিটেন ও ফ্রান্স দুই দিনের ম্যাচ খেলেছিল। ওই টেস্ট ম্যাচটি গ্রেট ব্রিটেন জেতে ১৫৮ রানে। তবে, এরপর থেকেই অলিম্পিকে আর ক্রিকেটকে দেখা যায়নি।
নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সঙ্গে আলোচনায় বসবে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখানে ২০২৪ অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে বলে জানা যায়।
অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গে বিবিসির এক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসে টেন্ডুলকার জানান, অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভালো একটি সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টিই হবে আদর্শ ফরমেট। কারণ, ক্রিকেট নিয়ে যাদের কোনো ধারণা নেই, কিংবা ক্রিকেটের সঙ্গে যারা পরিচিত হতে চায়, তাদের জন্য এই ফরমেটটা সবচেয়ে আকর্ষণীয় হবে।
তিনি আরও যোগ করে জানান, টি-টোয়েন্টি ফরমেটের খেলা তিন ঘণ্টার মতো। অন্য যে কোনো খেলার মতো তিন ঘণ্টা স্টেডিয়ামে কাটিয়ে কাজে ফিরে যাওয়া যায়।
অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গে ওয়ার্ন জানান, ক্রিকেটকে অলিম্পিকের একটা খেলা হিসেবে দেখতে খুব ভালো লাগবে। কে জানে, আগামীতে এটি হতেও পারে। আদর্শগতভাবে আমি টি-টোয়েন্টির কথাই বলবো। কারণ, এ ফরমেটের ম্যাচ আয়োজন করা সহজ। যেখানে একদিনে দুই বা তিনটি খেলা সম্পন্ন করা যাবে।
টেন্ডুলকার আর ওয়ার্নের দাবীর মুখে এখন দেখার বিষয় ২০২৪ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেটকে দেখা যায় কী না!
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ২৭ অক্টোবর ২০১৫
এমআর