ঢাকা: দিন বদলের পালায় বদলাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। আগে যেখানে একটি ম্যাচ বা একটি সিরিজ জয়ের জন্য দিনের পর দিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতে হতো, আজ সেই সিরিজ জয় হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার।
ওয়ানডেতে টিম বাংলাদেশ প্রথম হোয়াইটওয়াশের দেখা পায় ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে। মজার ব্যাপার হলো, ওই বছরই চারটি হোয়াইটওয়াশ ধরা দেয় টাইগার শিবিরে। আর তার শুরু ওই বছরের মার্চে। বাংলাদেশে চার মাচ সিরিজের ওয়ানডে খেলতে আসা কেনিয়া স্বাগতিকদের কাছে হেরে যায় ৪-০ তে। এরপর, আগস্টে তিনটি ওয়ানডে খেলতে কেনিয়া সফরে যায় বাংলাদেশ। সেই সিরিজও জিতে আসে ৩-০ তে। তৃতীয় হোয়াইটওয়াশটি টাইগার শিবিরে ধরা দেয় একই বছরটির নভেম্বরে। তবে সেবারের প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী জিম্বাবুয়ে। নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে খেলতে এসে স্বাগতিকদের কাছে হেরে যায় ৫-০ তে। বছরের শেষ হোয়াইটওয়াশটি আসে ডিসেম্বরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে খেলতে এসে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায় ২-০ ব্যবধানে।
২০০৮ এর মার্চ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসা আয়ারল্যান্ড স্বাগতিকদের কাছে তিনটিতেই হেরে গেলে পঞ্চম হোয়াইটওয়াশের দেখা পায় মোহাম্মদ আশরাফুলের দল। এরপর, ২০০৯ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপ সফরে গিয়ে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ তে হারিয়ে আইসিসির কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে বিদেশের মাটিতে প্রথম আর নিজেদের সর্বমোট ষষ্ঠ হোয়াইটওয়াশের গৌরব লাভ করে বাংলাদেশ।
এরপর টানা দু’টি হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ শিবিরে ধরা দেয় আরেক শক্তিশালী দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১০ সালে ঢাকায় প্রথম দফায় কিইউদের ৪-০ তে এবং ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা ও ফতুল্লায় ৩-০ তে হেরে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইওয়াশ হয় সফরকারীরা। আর অতি সম্প্রতি গেল ২০১৪ এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসা জিম্বাবুয়েকে ৫-০তে এর্ব ২০১৫’র এপ্রিলে পাকিস্তানকে ৩-০ তে ধবল-ধোলাই করে টাইগাররা স্বাদ পায় ১০ম হোয়াইটওয়াশের।
এবার টাইগারদের প্রতীক্ষা নিজেদের সর্বমোট ১১তম ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় হোয়াইটওয়াশের!
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘন্টা, ১১ নভেম্বর, ২০১৫
এইচএল/আরএম