ঢাকা: ক্রিকেট বিশ্লেষকরা তার নাম দিয়েছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’। আবার দলনেতা তাকে ‘রান মেশিন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এ নিয়ে জিম্বাবুয়েকে টানা দুটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা। আর এর মাধ্যেমে বাংলাদেশ দল ১১তম বারের মতো কোনো দলকে হোয়াইটওয়াশ করার গৌরব অর্জন করলো।
এ গৌরবের অর্জনে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে ব্যাট এবং গ্লাভস্ হাতে মুশফিকুর রহিমের অবদানটা একটু বেশি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং অসাধারণ শতকে ২৭৩ রানের স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ১৪৫ রানের বিশাল জয় পায় মাশরাফি বাহিনী। অবশ্য বল হাতে সাকিব আল হাসান একাই ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে ছিলেন। ১০৯ বলে অসাধারণ শতকের জন্য ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন মুশফিক।
এছাড়াও প্রথম ওডিআইতে ব্যক্তিগত শতকের পাশাপাশি উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে দু’টি ক্যাচও নিয়েছেন মুশফিক।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিক ব্যাট হাতে তেমন এগুতে না পারলেও (২১ রান) উইকেটের পেছনে থেকে দায়িত্বটা ঠিকই পালন করেছেন ভালভাবে। ক্যাচ নেওয়া পাশাপাশি স্ট্যাম্পিংও করেছেন একটি। এ ম্যাচে বাংলাদেশ ৫৮ রানের জয় পেয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে।
আর সিরিজ জয় নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে তামিম-ইমরুলের উদ্বোধনী জুটি। শেষ ম্যাচে রানের সচল চাকা ধরে রাখার জন্য মুশফিককে ওয়ান ডাউনে নামানো হয়। নেমে ব্যাট চালাচ্ছিণের সাবলীল ভাবে। তবে এ চাকা বেশিক্ষণ ঘুরাতে পারেননি তিনি। ২৫ বলে ৩ চারে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। তবে তামিম-ইমরুল এবং মাহমুদুল্লাহর অর্ধশতকে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের টার্গেট দেয় মাশরাফি বাহিনী। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৬১ জয় নিয়ে জিম্বাবুয়েকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করলো।
সব মিলিয়ে পুরো সিরিজের ‘মি. রান মেশিনের’ ব্যাট থেকে আসে ১৫৬ রান। যা তিনম্যাচ ওডিআই সিরিজের সর্বোচ্চ রান। এর পরপরই রয়েছে দুই ম্যাচ খেলে ইমরুল কায়েস (১৪৯) এবং তামিম ইকবাল (১৩২)।
সবদিক বিবেচনায় সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য তাকে ‘প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ’ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এসএইচ