ঢাকা: স্বপ্নের মতোই কাটল বছরটা। গত বছরের নভেম্বর থেকে সাফল্যের শুরু জিম্বাবুয়েকে দিয়েই।
বিশ্বকাপে অভাবনীয় সাফল্যের পর দেশের মাটিতে চারটা সিরিজ জয়। সবমিলে টানা সিরিজ জয় পাঁচটি। যার মধ্যে জিম্বাবুয়েকে দু’বার। বাকি তিন প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিন আফ্রিকা।
বিগত এক বছরে টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও শুভসূচণা বাংলাদেশের। তাইতো নির্ভার ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়া দল টেস্ট খেলতে না আসায় হঠাৎ করে ওয়ানডে সিরিজে বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল ক্রিকেটারদের জন্য। চ্যালেঞ্জটা বড় করে তুলেছিল টাইগারদের ধারাবাহিক সাফল্যই। বড় দলগুলোর বিপক্ষে সাফল্যের ধারা ধরে রাখা যাবে তো খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে?
সেই চ্যালেঞ্জে প্রায় ষোলআনাই সফল মাশরাফির বাংলাদেশ। কাল দ্বিতীয় টি-২০তে হারানো গেলে শতভাগ সাফল্য নিয়ে চলতি বছরের শেষ হোম সিরিজে ইতি টানবে বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচের আগের দিন ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিল না কোনো দুশ্চিন্তা। টানা সাফল্যের এ ধারায় সঙ্গী হতে পেরে প্রতিটি ক্রিকেটারই যেন ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। চোখে-মুখে যেন স্বস্তি, তৃপ্তির হাসি।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) ছিল না আনুষ্ঠানিক অনুশীলন, মিডিয়া অ্যাকটিভিস। তারপরও সংবাদকর্মীদের চোখ ক্রিকেটারদের দিকে। টিম হোটেলের চিত্র দেখেই বোঝা যায় ধারাবাহিক এ সাফল্য কতটা উপভোগ করছেন জাতীয় দলের সদস্যরা। যে যার মতো কাটাচ্ছেন সময়।
সকালে মুশফিকুর রহিমের বাবা সোনারগাঁও হোটেলে এসে দেখা করলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। নাসিরের সঙ্গে দুষ্টুমিতে মাতলেন তিনি। এছাড়া হোটেল থেকে ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছেন মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, নাসির, সাব্বির, আরাফাত সানি, জুবায়ের, আল আমিন, কামরুল ইসলামরা।
কেউবা দেখা করেছেন পরিবারের সঙ্গে। সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ক্রিকেটাররা। তাইতো অবসর সময়টা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এসকে/এমএমএস