ঢাকা: দ্বিতীয় ম্যাচেও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গ্যালারি-ভর্তি দর্শক। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে জামপ্যাক গ্যালারি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
শুরু থেকে শেষ অবধি গ্যালারিতে স্বতস্ফূর্ত থেকে উৎসাহ যোগান ক্রিকেটারদের। ক্যামেরার লেন্সও খুঁজে ফিরলো তাদের। ট্রমা ম্যাটস ও শ্যামলী ম্যাটস- দু’টি শাখার প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী টাইগারদের খেলা উপভোগ করলেন এক সঙ্গে। আর এতে পূর্ব গ্যালারির শোভাও বাড়লো অনেকটা ।
সবাই মিলে খেলা দেখতে পারার অনুভূতির কথা জানান একাদশ শ্রেনির ছাত্র গোলাম রাব্বি, ‘অনেক ভালো লাগছে। এর আগে অনেকবার খেলা দেখেছি। কিন্তু এমন মজা পাইনি কখনো। আর কখনো এভাবে খেলা দেখার সুযাগ হবে কিনা জানি না-যতটা পারি উপভোগ করে যাচ্ছি। ক্লাস শেষ করেই মাঠে এসেছি। এ জন্য শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। ’
ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে আসার বিষয়ে শ্যামলী ম্যাটসের প্রিন্সিপাল ড. তাসনুবা আহমেদের ভাষ্য, ‘আগেও এসেছি আমরা। এবার নতুন দুইটা ব্যাচ এসেছে কলেজে। অনেকেই পরিবার ছেড়ে ঢাকায় নতুন আসছে। তাদের মধ্যে অনেকেরই মন খারাপ। বিশেষ করে, হোস্টেলে যারা থাকছে তারা। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, ওদের নিয়ে কিছু করা দরকার। এক সাথে কোথাও যাওয়া সম্ভব হয় না। যেহেতু শ্যামলী থেকে স্টেডিয়াম কাছেই। এ জন্য আমরা আসলাম। খুব ভালো লাগছে। আমি ছেলে-মেয়ে ও স্বামীসহ মাঠে এসেছি। ’
ট্রমা ম্যাটসের প্রিন্সিপাল জানালেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতে উৎসাহ দিতেই ওদের নিয়ে মাঠে আসা। আমার যদি ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে ক্রিকেট, ফুটবল টিমকে অনুপ্রাণীত করতে পারি সেটাও তো দেশের জন্য কিছু করা হবে। অপেক্ষায় থাকি কবে সিরিজ হবে আর টিকিট ম্যানেজ করে সবাইকে নিয়ে খেলা দেখতে যাব। আরও টিকিটের দরকার ছিল। আমি সব শিক্ষার্থীদের মন রক্ষা করতে পারিনি। আরও ৫০০ টিকিট হলে ভালো হতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এসকে/আরএম