শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম থেকে: বিপিএল শুরুর উদ্বোধনী দিনেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটসের দর্শকরা। মোটরসাইকেলে উচ্চ আওয়াজ ও দলের স্লোগান তুলে প্রায় দেড় হাজার সমর্থক স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আশ-পাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন।
হুড়োহুড়ি করে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে গিয়ে কয়েকজন মাটিতেও লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাদের কারোরই হাতে টিকিট দেখা যায়নি। বিসিবি’র নিরাপত্তাকর্মী ও গেটম্যানরা নীরবেই সহ্য করেছেন তাদের এই উদ্ধত।
ঢাকা-কুমিল্লা ম্যাচ শুরুর আগে ১০০ থেকে ১৫০ জনের একটি দল স্টেডিয়ামের ৩ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তাদেরই একাংশ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে বিশৃঙ্খল করে তোলে স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথ। এতে আতঙ্কিত হয়েছেন সাধারণ দর্শকরাও।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও পরিচালক শেখ সোহেল স্টেডিয়ামের বারান্দা থেকেই এ দৃশ্য অবলোকন করেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের দায়িত্বরত কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও গেটম্যানরা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটির বর্ননা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা ঢাকা ডায়নামাইটসকে সতর্ক করে দিয়েছি। যারা বিনা টিকিটে ঢুকেছে, তাদের আমরা বের করে দিয়েছি। ’
বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী অবশ্য ভিন্ন তথ্য দেন, ‘ঢাকা ডায়নামাইটসের পক্ষে ১২০০ টিকিট কেনা ছিল। সে টিকিট দিয়েই তারা স্টেডিয়ামে ঢুকেছে। ’
বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলিয়ে বিসিবি যেখানে চাইছে নিরাপত্তা নিয়ে ভবিষ্যতে কেউ যেন প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেখানে প্রশাসনের সামনে এমনটা কিভাবে ঘটে-স্টেডিয়ামের আশপাশের মানুষ-এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রতিবেদকের কাছে। ঢাকা ডায়নামাইটসের ১২০০ দর্শক একসাথে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসছে এমন খবর আগে থেকেই ছিল বিসিবি’র মিডিয়া বিভাগের কাছে। তারপরও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তা বোধগম্য নয় কারও কাছেই।
দুপুরে মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচেও দেখা গেছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা। গ্যালারিতে নিজ দলের প্রভাব খাটাতে গিয়ে দর্শককে ফ্রি খেলা দেখাতে ব্যস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের প্রায় দুই হাজার দর্শককে বিনা খরচে খেলা দেখিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর