ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের তৃতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন সিলেট সুপারস্টারসের সত্বাধিকারি আজিজুল ইসলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে এমনই অভিযোগ করেছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম।
তদন্ত শেষে সিলেটের মালিক দোষি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বুধবার (২৫ নেভেম্বর) বিকেলে ক্রিকেট একাডেমির মাঠে বিষয়টি নিয়ে বিসিবি সভাপতি আরও বলেন ‘তামিমের অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে তা খুবই অনাকাঙ্খিত। আমি একটি ব্যাপার বুঝতে পারছি না যে ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির দেখা হল কী ভাবে? আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ আকসু’র নিয়মেই ম্যাচের সময় কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির মাঠে যাবার কথা নয়’।
মুলত তামিম ওই দিন আপত্তি জানিয়েছিলেন টিম লিস্টে দু’জন বিদেশী প্লেয়ার রবি বোপারা এবং জশুয়া কবের নাম না থাকা সত্বেও তাদের মাঠে নামানো নিয়ে। একই সঙ্গে আরেকটি জটিলতাও ওই দুই ক্রকেটারের ছিল আর সেটি হল, তাদের অনাপত্তি পত্র বা এনওসি ছিলনা। এই বিষয়ে পাপন জানান, ‘আইন অনুযায়ী প্লেয়ার লিস্ট দিয়ে দেয়া হলে তা টসের পর আর পরিবর্তন সম্ভব না। শুধু মাত্র যদি প্রতিপক্ষের অধিনায়ক তাতে সম্মতি দেন তাহলেই কোন রকম পরিবর্তন বা পরিবর্ধন সম্ভব’।
একই বিষয়ে সিলেট সুপাস্টারসের ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকেও বিসিবি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে বলে জানালেন পাপন।
একই সময় বিসিবি সভাপতি বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের দর্শকদের আইন না মেনে মাঠে প্রবেশ নিয়েও কথা বলেন। ‘আমার মনে হয় ওই দিন নিরাপত্তা কর্মীরা ভেবেছিল যে ঢাকা ডায়নামাইটসে’র সমর্থকদের কোন দল এসেছে। এরা যে দলের সদস্য না হয়েও টিকিট ছাড়াই মাঠে ঢুকে যাবে সেটা তারা বুঝতে পারেনি। পরে আমি যখন দেখলাম ওই সমর্থকদের পায়ের নিচে পড়ে মানুষ পদপিষ্ঠ হচ্ছে তখন নিরাপত্তা কর্মীদের বললাম গেইট বন্ধ করে দাও আর যাদের সাথে টিকিট নেই তাদের বের করে দাও। আসলে আমরা বুঝতে পারিনি যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এর পুণরাবৃত্তি আর ঘটবেনা’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘন্টা, ২৫ নভম্বর ২০১৫
এইচএল/এমএমএস