ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপিএল-৩

সবাইকে বিনোদিত করাই গেইলের লক্ষ্য

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫
সবাইকে বিনোদিত করাই গেইলের লক্ষ্য ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিপিএল মাতাতে এসে গেছেন দুনিয়া কাঁপানো ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছে শনিবার দুপুরে ব্যাট হাতে নেমে পড়েন অনুশীলনে।

মিরপুর একাডেমির নেটে ব্যাট হাতে ঝালিয়ে নিয়েছেন বরিশাল বুলসের এই জ্যামাইকান ক্রিকেটার। রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের ম্যাচে সিলেট সুপারস্টারসের বিপক্ষে মাঠে নামবেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।
 
একাডেমি মাঠে নেট ব্যাটিং শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বোলারদের কাছে এক আতংকের নাম ক্রিস গেইল। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের চুম্বক অংশ বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো: 

প্রশ্ন: আবার বাংলাদেশে ফিরে কেমন লাগছে? বিপিএল নিয়ে কী ভাবছেন?
গেইল: বাংলাদেশে আবার আসতে পেরে ভালো লাগছে। এখানে যখনই খেলেছি ভালো পারফর্ম করেছি। এবার আমার দলও খুব ভালো খেলছে। এটাই চাপে ফেলে দিয়েছে আমাকে। ইনজুরিতে থেকে ফেরার পর এখানই প্রথমবার খেলছি। কালকের (শনিবার) ম্যাচে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। ব্যক্তিগতভাবে ভালো করার পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলে দলের অবস্থান সুসংহত করার দিকেও চিন্তা থাকবে। ফাইনালে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মকভাবে পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। আজ দলের সঙ্গে অনুশীলন করলাম। ভালো লাগলো।
 
প্রশ্ন: অনেক দিন খেলেননি। এখন নিজের প্রস্তুতিটা কেমন?
গেইল: সব ঠিকঠাক আছে। গত জুলাইয়ে ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ খেলেছি। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে আসতে হবে। জানি না কাল কী হবে। তবে আমার চেষ্টা থাকবে মাঠে ভালো খেলে দর্শকদের বিনোদিত করা। আশা করছি ক্যারিয়ারটা আরো দীর্ঘ হবে এবং যতোটা সম্ভব আমি বিশ্বজুড়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে পারবো।
 
প্রশ্ন: আপনার দল বরিশাল বুলস নিয়ে কী বলবেন?
গেইল: সত্যি কথা হলো আমি টিভিতে খেলা দেখিনি। তবে ইন্টারনেটে দলের স্কোর অনুসরণ করেছি। সবাই ভালো খেলছে। বিশেষ করে বেশির ভাগ ম্যাচই জিতিয়েছে বোলাররা। এটা দারুণ ব্যাপার। এভিন লুইস দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে। ওপেনারের বিবেচনায় এটা বিশাল ব্যাপার। আশা করছি সে এ রকম আরো কিছু দলের জন্য করবে। আমাদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও একজন ম্যাচ উইনার। তার অন্তর্ভুক্তি দলে অভিজ্ঞতা যোগ করেছে। আমাকে দলে নেয়া হয়েছে শক্তি বাড়ানোর জন্য। আশা করছি সেটা পারবো। এ ছাড়া ড্রেসিংরুমে নতুন নতুন অনেকে সঙ্গে থাকবো। এটা আমার জন্য নতুন ব্যাপার হয়ে থাকবে। সব মিলিয়ে নতুন করে শুরুর জন্য অপেক্ষায় আছি।
 
প্রশ্ন: সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে বিষয়ে আপনার চিন্তা কী?
গেইল: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনো অনেক দূরে। বিপিএলের পর বিগব্যাশ আছে। সব মিলিয়ে আমি আপাতত ক্রিকেটে পরিপূর্ণভাবে ফিরে আসার চিন্তা করছি।
 
প্রশ্ন: ইনজুরিজনিত জড়তা নিয়ে কি চিন্তিত?
গেইল: আমি শরীরে খুব বেশি চাপ দিতে চাই না। তবে যদি কোনো কারণে এক বা দুই ওভার বোলিং করতে হয় সেটাও করা যাবে। তবে সামর্থ্যের অতিরিক্ত চাপ কেউ-ই নিতে চায় না।
 
প্রশ্ন: খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলায় আপনার অনুপ্রেরণা কেমন থাকে?
গেইল: আমি পৃথিবীর যেখানেই খেলি না কেনো চেষ্টা করি মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলতে। যে কোনো দলের হয়ে খেলার সময় আমি সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করি। এটা হয়তো সব সময় হয় না। কিন্তু সবাইকে খুশি করার লক্ষ্যটা ঠিকই থাকে। সবাই টাকা খরচ করে খেলা দেখতে আসে। আমিও খুঁজে বের করি কীসে তারা আনন্দিত হয়। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই আমি করি।
 
প্রশ্ন: আপনার উপস্থিতি সব কিছু আরো বেশি রঙিন করে তুলে। বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
গেইল: আমি তো এ রকমই! আমি সব সময় সবাইকে উপভোগ করার মতো সময় উপহার দিতে চাই। ইনজুরি থেকে ফিরে আসার পরই আমার দল চায় আমি যাতে স্কোর করি। তাই আমি চাপে থাকি। তবে এই পরিস্থিতিতে আমি অভ্যস্ত। আমি যতোটা দ্রুত সম্ভব আমার কাজটা করতে চাই।
 
প্রশ্ন: বিপিএল-এর আয়োজনটা কিভাবে দেখছেন?
গেইল: বিপিএল সামনে এগিয়ে যাবে বলে মনে করি। এটা সত্য যে এটা কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তারপরও মনে হয় বিপিএল অনেক দিন টিকে থাকবে এবং আরো আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় এখানে খেলতে আসবে। এখানকার দর্শকরা ক্রিকেট ভালোবাসে তাই বিপিএল আরো দীর্ঘ মেয়াদে হবে এবং এর বাজারজাত যথাযথ হবে বলে আশা করছি। ফলে খেলোয়াড়রা এখানে আসার জন্য মরিয়া হয়ে যাবে।
 
প্রশ্ন: বিপিএলে ব্যাট হাতে ঠিক কী বলতে চান!
গেইল: আমি একটি নতুন ব্যাট দিয়ে খেলবো। এখানে বোলারদের জন্য বিশেষ কোনো বার্তা নেই। আমি এর মধ্যেই ধ্বংসাত্মক অনেক কিছু করে ফেলেছি। বুঝতে পারছি না সামনে প্রত্যাশা কী।
 
গেইলের বিপিএল প্রোফাইল: ক্রিস গেইল বিপিএলের প্রথম আসর খেলেছেন বরিশাল বার্নাসের হয়ে। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় আসরে খেলেছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে। ম্যাচের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় পা রেখে ঢাকা গ্ল্যাডিয়টর্সের হয়ে করেছিলেন ৫১ বলে ১১৪। সেবার ম্যাচ খেলেছিলেন ওই একটিই। পরের বার খেলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে। বিপিএলের প্রথম দুই আসরে ৬টি ম্যাচ খেলে ৩টি শতক হাঁকিয়েছিলেন ওয়েস্টইন্ডিজের এ ব্যাটসম্যান। ৬ ম্যাচে বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যানের রান ৪০২। গড় ১০০.৫০,  স্ট্রাইকরেট দুশো’র কাছাকাছি (১৯৬.০৯)।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।