ঢাকা: মন্থর ব্যাটিংয়েও দিল্লি টেস্ট বাঁচাতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। অশ্বিন-জাদেজাদের স্পিন ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভার বাকি থাকতে ১৪৩ রানে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায়।
স্কোর: ভারত - ৩৩৪ ও ২৬৭/৫ ডিক্লে.
দ. আফ্রিকা – ১২১ ও ১৪৩
আগেই চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিশ্চিত করা ভারত শেষ ম্যাচেও দাপুটে জয় পেল। অবশ্য, মোহালি ও নাগপুর টেস্ট তিন দিনে নিষ্পত্তি হলে দিল্লি টেস্ট পাঁচ দিনে গড়ালো। আর ড্র হওয়া বেঙ্গালুরু টেস্টে (দ্বিতীয় ম্যাচ) বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের পর তো একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
![](files/IND_VS_SA_Inner1_527878610.jpg)
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল পুরো দিন ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করা। ভারতের দেয়া ৪৮১ রানের পাহাড়সম টার্গেটের বিপরীতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই মন্থর গতির ব্যাটিং করে সফরকারীরা। শেষ দিনেও তা অব্যাহত থাকে।
পঞ্চম দিনে ৮৫তম ওভারের মাথায় আমলা-ডি ভিলিয়ার্সের জুটি ভাঙে। রবিন্দ্র জাদেজার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ২৪৪ বলে ২৫ রান করা হাশিম আমলা। ১২০তম ওভারের শেষ বলে জাদেজার বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হন ফাফ ডু প্লেসিস। তার ব্যাট থেকে আসে ৯৭ বলে ১০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে জাদেজার তালুবন্দি হন ডি ভিলিয়ার্স। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৯৭ বল মোকাবেলায় ৪৩ রান করেন। ১৪৪তম ওভারের প্রথম বলেই মরনে মরকেলের (২) স্ট্যাম্প ভেঙে প্রোটিয়াদের ইনিংসও গুটিয়ে দেন অশ্বিন।
![](files/IND_VS_SA_Inner2_485535417.jpg)
প্রথম ইনিংসে দুই উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। ঠিক উল্টোভাবে পাঁচ উইকেট পাওয়া জাদেজা শেষ ইনিংসে দুই উইকেট লাভ করেন। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দিতে বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখেন পেসার উমেশ যাদব।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অজিঙ্কা রাহানে। দুই ইনিংসেই শতক হাঁকান ২৭ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর অনুমিতভাবেই সিরিজ সেরা হন অশ্বিন। চার ম্যাচ সিরিজে তিনি সর্বোচ্চ ৩১টি উইকেট দখল করেন। অশ্বিনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩টি উইকেট লাভ করেন জাদেজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
আরএম
** দ. আফ্রিকার কৌশলে অসন্তুষ্ট ক্রিকেটের বরপুত্র
** অবিচল আমলার বল ঠেকানোতেই আনন্দ!
** মন্থর ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়াদের তিন রেকর্ড