ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পরিকল্পনা অনুযায়ীই ব্যাটিং করেছেন জহুরুল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
পরিকল্পনা অনুযায়ীই ব্যাটিং করেছেন জহুরুল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: বিপিএলের শুরুতে রানখরায় পড়েছিলেন রংপুর রাইডার্সের ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচগুলোতে অবশ্য হেসেছে তার ব্যাট।

শেষ পাঁচ ইনিংসে এক ফিফটিতে করেছেন ১৭৭ রান। যার মধ্যে আবার তিন ম্যাচেই অপরাজিত ছিলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দুই ম্যাচে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

মঙ্গলবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলেন ৫০ বলে ৬২ রানের পরিচ্ছন্ন এক ইনিংস। জহুরুলের অপরাজিত ইনিংটিতেই লড়াই করার পুঁজি পায় রংপুর। এরপর বোলাররা সারেন বাকি কাজ। ২১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর রাইডার্স। বিপিএলে ম্যাচসেরার পুরস্কার দ্বিতীয়বারের মতো হাতে ওঠে জহুরুল ইসলামের।    

ম্যাচ শেষে জহুরুল জানালেন ব্যাটিয়ে নেমে তার পরিকল্পনার কথা, ‘দলের ব্যাটিং লাইনআপের শেষদিকে যেহেতু বিগ হিটার ছিলো, আমি চেয়েছি তাদের সাপোর্ট দিতে। ভেবেছি এক পাশে থেকে সিঙ্গেল নিলেই হবে। স্যামি, পেরেরা, নবী ভাই আছেন তারা যেন মেরে খেলতে পারেন সেভাবেই চিন্তা করেছি। কারণ স্থানীয় ক্রিকেটার উইকেটে থাকলে বিদেশি ক্রিকেটারের খেলা সহজ হয়ে যায়। তখন তারা এসে মারতে পারেন। তাছাড়া এখানকার উইকেটে শুরুতে তাদের ব্যাটিং করা একটু কঠিনই। ’

৬২ রানের ইনিংসে বেশ কয়েকটি স্কুপ শট খেলেন জহুরুল। জাতীয় দলে থাকাকালীন সময়ে অবশ্য এমন শট কখনো দেখা যায়নি তার ব্যাটে। জহুরুল নিজেই জানালেন এ শট সবেই শিখেছেন, ‘তুলে মারতে গিয়ে অনেক সময় আউট হয়েছি। চিন্তা করেছি আউট না হয়ে কিভাবে শট খেলা যায়। বিপিএলের আগে রাজশাহীতে ৮-১০ দিন অনুশীলনে কিছু শটস বের করি। আরও কিছু শট শিখেছি যেগুলো খেলিনি ঝুঁকি মনে করে। স্কুপে নিজের নিয়ন্ত্রণ ছিল, তাই ম্যাচে চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে তাতে সফলও হয়েছি। ’

ব্যাটিংয়ে নেমে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পেরে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে বলে জানান জহুরুল, ‘মোটামুটি রানে ফিরছি, আত্মবিশ্বাস এসেছে। আসলে ভালো ইনিংস খেলে ৩০ করলেও ভালো লাগে। এই ইনিংসটা বেশ ভালো এবং পরিস্কার ছিল। আমি যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম সেভাবেই হয়েছে। ’

জহুরুল ব্যাটে ধারাবাহিক হওয়ায় খুশি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। ম্যাচ শেষে জহরুলের ব্যাটিং নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘জহুরুল রানে ফেরাতে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি। তার এভাবে ফেরাটা দরকার ছিল। খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে সে। ’

ইনজুরি ও মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে খুব খারাপ সময় যাচ্ছিল জহুরুল ইসলামের। সব সমস্যা উতরে গিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আবারও ফিরেছেন তিনি। ব্যাটিংটাও খুব ভালো হচ্ছে তার। ২০১৩ সালের মে মাসে জাতীয় দলের হয়ে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন জহুরুল।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩১ ঘণ্টা, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।