মিরপুর থেকে: বিপিএলে লিগ পর্যায়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট সুপার স্টারকে ৭১ রানে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে দাপটের সঙ্গেই শেষ চারে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাশরাফিদের দেয় ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৯ রানেই গুটিয়ে গেছে মুশফিকদের ইনিংস।
তবে সিলেটের বিপক্ষে এই জয়ের আগে কুমিল্লা অধিনায়ক জয় নিয়ে যতটুকু না ভাবনায় ছিলেন তার চেয়ে বেশি ভেবেছেন ন্যুনতম ৫০ রানে জয় পান কিনা তা নিয়ে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘সমীকরণ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলনা। আমরা আসলে ম্যাচটি জিততে চাচ্ছিলাম। কারণ জিতলে আমরা এক দুইয়ের মধ্যে থাকতে পারবো জানতাম। শেষদিকে জানতে পারি যে, আমরা ৫০ রানে জিততে পারলে এক নম্বর পজিশনে যেতে পারবো। ’
বিপিএলে এবারের আসরে এক রকম কাঁপন ধরিয়েছে মাশরাফির দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিগ পর্যায়ে নিজেদের ১০ ম্যাচের ৭টিতেই জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে টেবিলের শীর্ষে।
টুর্নামেন্টের লিগ পর্ব শেষে দলের এমন পারফরম্যান্স তাই কিছুটা হলেও অভিভূত করছে এই কুমিল্লা অধিনায়ককে, ‘এখানে আসতে পারবো সেটা শুরুতে ভাবতে পারিনি। এ পর্যায়ে তারাই আসবে যারা শুরু থেকেই ভাল খেলছে। এখানে কোন পছন্দ থাকেনা। ডু অর ডাই ম্যাচ। এখানে যারা নার্ভ ঠান্ডা রেখে খেলার চেষ্টা করবে তারাই গেইনার হবে। ’
লিগ পর্যায়ে বেশ দাপটের সঙ্গেই একটি একটি ম্যাচ জিতেছেন মাশরাফিরা। তাই আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে তাই শেষ চার খেলতে একেবারেই ভয় পাচ্ছেন না কুমিল্লার অধিনায়ক, ‘শেষ চারে প্রতিপক্ষ কে আসবে সেটা নিয়ে আমি ভাবতে চাচ্ছি না। ’
সব শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের খেলোয়াড়দের টাকা পাওনা আছে কিনা এই বিষয়টিও প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে। এতে মাশরাফির ভাষ্য, ‘দলের ৭৫ ভাগ খেলোয়াড়কে তাঁদের পাওনা টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। ১১ তারিখ দেয়ার কথা থাকলেও তারা তা ১০ তারিখে পেয়ে গেছেন। বিদেশিদের শতভাগ টাকা দেয়া হয়ে গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫
এইচএল/আরএম