ঢাকা: বিপিএলের তৃতীয় আসরে টিকে থাকার লড়াইয়ে (এলিমিনেটর) মাঠে নামছে বরিশাল বুলস ও ঢাকা ডায়নামাইটস। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
রংপুর ও কুমিল্লার সঙ্গে বরিশালের সমান ১৪ পয়েন্ট হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সেরা দুইয়ে জায়গা হয়নি তাদের। ফলে এলিমিনেটরে ঢাকার বিপক্ষে জিতেই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে অংশ নিতে হবে মাহমুদউল্লাহদের।
অন্যদিকে ১০ ম্যাচে চার জয়ে মাত্র আট পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে জায়গা পায় কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা ডায়নামাইটস।
টুর্নামেন্টের অন্য দুটি দল চিটাগং ভাইকিংসের ৪ ও সিলেট সুপারস্টারসের পয়েন্ট মাত্র ৬ হওয়ায় এবারের আসর থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
লিগ পর্বে ঢাকার বিপক্ষে দু’বারের মুখোমুখিতেই জয় পেয়েছে বরিশাল। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে শেষ ম্যাচে নাটকীয়ভাবে ঢাকাকে দুই উইকেটে হারিয়ে দেয় মাহমুদউল্লাহর দল। এ জয়ের ফলে এলিমিনেটর ম্যাচের আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী বরিশাল। সেই সঙ্গে ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল রানে ফেরায় উজ্জ্বীবিত দলের অন্য সদস্যরাও। বিপিএলে নিজের তৃতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৯২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে বরিশালের শক্তির জায়গার প্রমাণ দেন ক্রিস গেইল।
গেইলকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর আত্মবিশ্বাস থাকলেও সঙ্গে হতাশার জায়গাও রয়েছে দলটির। অপর ওপেনার এভিন লুইস হঠাৎই ব্যাটিং ফর্ম হারিয়েছেন। আসরের প্রথম সেঞ্চুরির (১০১*) পর শেষ চার ম্যাচের একটিতেও হাসেনি তার ব্যাট। টপঅর্ডারে রনি তালুকদার, সাব্বির রহমানরা রয়েছেন রান-খরায়। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভালো কয়েকটি ইনিংস দেখা গেলেও অতটা ধারাবাহিক নন তিনি।
অন্যদিকে ওপেনার সংকটে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ওপেনিংয়ে সৈকত আলী, সাদমান ইসলাম এমনকি টেলএন্ডার ফরহাদ রেজা, ইয়াসির শাহকে দিয়েও চেষ্টা করেছে তারা। পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ যোগ দেওয়ায় অবশ্য এক প্রান্ত নিয়ে স্বস্তিতে আছে ঢাকা। ওপেনিং সংকট মেটাতে হলে অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকেই নেমে যেতে হতে পারে ওপেনিংয়ে। সেই ঝুঁকি নিতে গেলে মিডলঅর্ডার দূর্বল হয়ে পরার আশঙ্কা থেকে যাবে।
তবে, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটিং পজিশন ও তার রান পাওয়ার উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে ঢাকার ব্যাটিং। দলের আইকন ক্রিকেটার লিগ পর্বের শেষের দিকে এসে বেশ কয়েকটি ম্যাচে রান পাওয়ায় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের একজন নাসির। এছাড়া ম্যালকম ওয়ালার আগের ম্যাচগুলোতে স্লগ ওভারে দারুণ সফলতা পাওয়ায় ইনিংসের ফিনিশিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কম ঢাকার।
বোলিংয়ে ঢাকার চেয়ে একধাপ এগিয়েই থাকছে বরিশাল। ঢাকার বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও স্পিনার মোশাররফ হোসেন ছাড়া আলো ছড়াতে পারছেন না দলের অন্য কেউ। অন্যপাশে বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিং কম্বিনেশন বরিশালের। স্পিনে রয়েছেন সোহাগ গাজী, নিখিল দত্ত ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। পেস আক্রমণে রয়েছেন আল আমিন হোসেন ও রায়াদ এমরিত। দু’জনই শুরু থেকে ভালো করছেন টুর্নামেন্টে।
ব্যাট-বলের উত্তেজনা শুরুর আগে সন্ধ্যার এ ম্যাচে টস হয়ে উঠতে পারে মহাগুরুত্বপূর্ণ ‘ফ্যাক্টর’। টসজয়ী দলের দিকে একটু হলেও হেলে থাকবে ম্যাচ ভাগ্য। জয়-পরাজয় যাই হোক পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট দেখার অপেক্ষায় সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর