ঢাকা: পাঁচ উইকেটে ২২৩ থেকে ছয় উইকেটে ৬২২ রান। কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এমনই দুঃস্বপ্ন উপহার দেন বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো।
কেপটাউন টেস্টে ছয় উইকেটে ৬২৯ রানে ইংলিশদের ইনিংস ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিন শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৪১ রান। অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটিতে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক হাশিম আমলা (৬৪ অপ.) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৫ অ.)।
দলীয় পাঁচ উইকেটে ৩১৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির পর ত্রিপল সেঞ্চুরির দেখাও পেতে পারতেন স্টোকস। কিন্তু, ১২৬তম ওভারের মাথায় তাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন ডি ভিলিয়ার্স। ততক্ষণে স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ১৯৮ বলে ২৫৮ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। অপরপ্রান্তে ১৫০ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো।
শুধু তাই নয়, টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন স্টোকস। ১৬৩ বল মোকাবেলায় (২৬ চার, ৭ ছক্কা) তিনি এ কীর্তি গড়েন। তবে আরেকটু হলেই নাথান অ্যাস্টলের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও ভেঙে ফেলতেন। ক্রাইস্টচার্চে ২০০১-০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৩ বলে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান সাবেক কিউই ওপেনার অ্যাস্টল।
এদিকে, মাঠ ছাড়ার আগে বেয়ারস্টোকে নিয়ে পার্টনারশিপের অনন্য রেকর্ড গড়েন স্টোকস। টেস্ট ক্রিকেটে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দু’জন রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৯৯ রান তোলেন। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬৫ রানের জুটি গড়ে এমন কীর্তি গড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও বিজে ওয়াটলিং। উল্লেখ্য, যেকোনো উইকেটে স্টোকস-বেয়ারস্টোর পার্টনারশিপটি ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর দ. আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ।
ইনজুরির কারণে ডেল স্টেইন ও কাইল অ্যাবটের অনুপস্থিতিটা ভালোই টের পায় প্রোটিয়ারা। স্বাগতিকদের বোলিং অ্যাটাকেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথম ইনিংসে কাগিসো রাবাদার তিন উইকেটের পাশাপাশি একটি করে উইকেট নেন মরনে মরকেল ও ক্রিস মরিস। অন্যদিকে, প্রোটিয়া ওপেনার ডিন এলগারের (৪৪) উইকেটটি লাভ করেন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা বেন স্টোকস। আর রান আউটের শিকার হন স্টিয়ান ভ্যান জিল (৪)।
চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
আরএম