ঢাকা: দুবাইয়ে জন্মগ্রহণকারী কাভিশা কুমারী মাত্র ১২ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নারী জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আমিরাতের ‘বিস্ময় বালিকা’ হিসেবে খেতাব পেয়েছেন তিনি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে ওমানে অনুষ্ঠিত গালফ কাপ টি-টোয়েন্টিতে কাভিশা আমিরাতের হয়ে খেলেন। তখন থেকেই আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের নজরে আসেন এ লঙ্কান তরুণী। এরপর থেকেই নিয়মিত সদস্য হিসেবে আমিরাতের জাতীয় নারী দলের হয়ে ক্রিকেট খেলতে থাকেন কাভিশা।
গত বছর কাতারে অনুষ্ঠিত গালফ কাপ টুর্নামেন্টেও আমিরাতের হয়ে অংশ নেন কাভিশা।
কাভিশার বাবা জগত কুমার ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ক্রিকেটে খেলা বাবার পথেই হাঁটছেন মেয়ে। মাত্র ৯ বছর বয়সে ডেজার্ট ক্লাবস ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হন তিনি। এ প্রসঙ্গে ১২ বছর বয়সী কাভিশা বলেন, আমার বাবাই আমার অনুপ্রেরণা। তার কাছ থেকেই আমি ক্রিকেটের বিভিন্ন টেকনিক শিখেছি। তিনিই আমার কোচ।
স্কুলে কাভিশা শুধুমাত্র ক্রিকেট নিয়েই থাকেননি। ব্যাডমিন্টন, ভলিবল আর থ্রো-বলেও সমান পারদর্শী এই তরুণী। তবে, মূল ফোকাসটা তার ক্রিকেটেই।
মেয়েকে নিয়ে আশাবাদী কাভিশার বাবা জানান, সব সময় সে আমার সঙ্গে অনুশীলন করেছে। বাসায় অবসর সময়েও কাভিশা আমার সঙ্গে টেনিস বলে অনুশীলন করতো। অন্য খেলাগুলোতেও আমার মেয়ে দারুণ পারফর্ম করে। তবে, আমি তাকে বলেছি যেহেতু ক্রিকেটকে সে সবথেকে বেশি ভালোবাসে তাই এ খেলাকেই যেন নিজের সেরাটা ঢেলে দেয়। সে অসম্ভব মেধাবী একজন ক্রিকেটার।
ছবি আঁকা, গল্পের বই পড়া আর ক্রিকেট দেখাকে নিজের শখের তালিকায় রাখা কাভিশা গত বছরের ডিসেম্বরে আমিরাতের নারী জাতীয় দলে অভিষিক্ত হন। এ প্রসঙ্গে লঙ্কান এ তরুণী বলেন, আমার এতদূর আসার পেছনে বাবার অবদান সবথেকে বেশি। আর আমিরাতের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা ছিল আমার জন্য রোমাঞ্চের। এটি অনেক আবেগময় মুহূর্ত ছিল। আমার স্বপ্নগুলোর একটি ছিল আমিরাতের হয়ে খেলা। বয়সে ছোট হয়েও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই দলে খেলে আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। তাদের সঙ্গে খেলা আমি উপভোগ করি।
কাভিশা প্রথম দিকে ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলা চালান। পরে অফ-স্পিনার হিসেবে বল শুরু করেন। সঙ্গে হার্ডহিটিং ওপেনিং ব্যাটিংটাও বেশ দারুণ করেন আমিরাতের লঙ্কান এ বিস্ময়। নিজের আদর্শ ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার তিলকরত্মে দিলশানকে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর