ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো! এক রেকর্ড দু’জন কিভাবে গড়েন এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে? তবে শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করার একই ম্যাচে গাপটিলের রেকর্ডের পর নতুন করে সেটি ভাঙলেন মুনেরো। ১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুত ফিফটি করার তালিকায় দ্বিতীয়ও হয়েছেন মুনরো।
অকল্যান্ডে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে কিউইদের ১৪৩ রানের টার্গেট দেয় লঙ্কানরা। জবাবে মাত্র ১০ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ইনিংসের সূচনায় ব্যাট করতে নামেন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন। আর শুরুর এই জুটি ৬.৪ ওভারে এনে দেন ৮৯ রান। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ২১ বলে তিন চারে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে দলীয় পঞ্চম ওভারে ছক্কা হাকিয়ে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করা গাপটিল নিউজিল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড গড়েন। পরে ২৫ বলে ছয় চার ও পাঁচ চারে ৬৩ রান করে থিসারা পিরেরার বলে আউট হন ইনর্ফম এ ব্যাটসম্যান। পুরো ইনিংসে সফরকারী বোলারদের এই একটিই সাফল্য।
দ্বিতীয় উইকেটে নামা মুনরো লঙ্কান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ভাঙ্গেন কিছুক্ষণ আগে করা গাপটিলের রেকর্ড। দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই রান। এমন সময় মুনরো ছক্কা হাকিয়ে ১৪ বলে ফিফটি করার রেকর্ড গড়েন। সফরকারী চার বোলারই এদিন ওভারপ্রতি ১১’র ওপরে রান দেন।
এরআগে টসে হারা শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তিনি ৪৯ বলে সাত চার ও চার ছয়ে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিলকরত্নে দিলশানের ২৮ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। পরে নির্ধারিত ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তোলে দলটি।
কিউই বোলারদের মধ্যে গ্র্যান্ট ইলিয়ট সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পান। দুটি করে উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে ও মিচেল স্যান্টনার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুনরো। এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে টি-২০ ছাড়াও টেস্ট ও ওয়ানডেতে সিরিজ হারে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস