খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম থেকে: ‘ছেলে-মেয়ে নিয়ে খেলা দেখতে এসে দায়ে পড়েছি। বাইরে থেকে খাবার আনা যায় না।
চরম বিরক্তি প্রকাশ করে এসব কথা বলছিলেন রমিস উদ্দিন নামে খুলনার এক ক্রিকেটপ্রেমী।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ওয়ালটন টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ চলাকালে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের পশ্চিম গ্যালারিতে বসে একথা বলেন তিনি।
রমিস উদ্দিন বলেন, মুনাফা করার তো একটা সীমা আছে। এটা তো মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়। যেন মগের মুল্লুক পাইছে!
রমিস উদ্দিনের পাশে বসে থাকা আরেক দর্শক ফরিদ খান বলে ওঠেন, ভাই আর বইলেন না ওরা মগের মুল্লুক পাইয়া বসছে। স্টেডিয়ামটাকে কসাই খানা বানাইছে। নইলে কি ১০ টাকার চিপস্ ২০ টাকায় বিক্রি করতি পারে?
এই দুই দর্শকের মতো অনেকেই অভিযোগ করেন, চড়ামূল্যে খাদ্য বিক্রি হচ্ছে গ্যালারিতে। নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ির কারণে পানি-খাবার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা নিষেধ। তাই গ্যালারির মধ্যে বিক্রি হওয়া খাবার চড়ামূল্যে কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন সবাই। দর্শকদের জিম্মি করে বিশাল ব্যবসা করে নিচ্ছে গ্যালারির খাদ্য বিক্রেতারা।
তারা আরও অভিযোগ করেন, চিকেন ঝাল ফ্রাই, বার-বি কিউ, চটপটি, ফুচকা, চপ, নুডুলসসহ অনেক খাবারেই ধুলা-বালি পড়ছে। ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ বাধ্য হয়ে সেইসব খাবার খাচ্ছেন।
পূর্ব গ্যালারির দর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, শুধু গাঁটের পয়সা খরচ করেই টিকিট মেলেনি, একটি টিকিটের জন্য রাত-দিন এক করে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। আর এত কষ্টের বিনিময়ে টিকিট কেটেও স্বস্তিতে নেই আমরা। খেলা দেখতে এসে গ্যালারিতে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।
তিনি জানান, তার গ্যালারিতে খাবার আর পানির সংকট। যা-ও পাওয়া যাচ্ছে, দাম চড়া। চা-কফির তো ব্যবস্থাই নেই। টয়লেটের সামনে দীর্ঘ লাইন।
৬ নং গ্যালারির সামিয়া স্টলের বিক্রেতা রাজ খাবারের দাম বেশি রাখার কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমার বুঝতে পারছি দাম বেশি নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের করার কিছুই নেই। আমাদের যে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তাই নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
এমআরএম/এমজেএফ