ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বকাপে বড় ভাইরা অনুপ্রেরণা ছোটদের

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
বিশ্বকাপে বড় ভাইরা অনুপ্রেরণা ছোটদের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পারফরম্যান্স এখনও্ তাজা। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান, ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তিন ক্রিকেট পরাশক্তির স্রেফ ওড়ে যাওয়ার গল্প তো আরও নিকট অতীতেরই।



এদিকে আর মাত্র কয়েকটা দিন পর শুরু হচ্ছে আরও একটা বিশ্বকাপ। তবে এটি ছোটদের। মানে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। আর এ বিশ্বকাপে বড়দের পারফরম্যান্সই অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে ছোট টাইগারদের। জাতীয় দলের দেখিয়ে দেওয়া পথে এগিয়ে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার স্বপ্ন মেহেদী হাসান মিরাজদের।

রোববার বিকেলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন জার্সি হস্তান্তর করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত ও পেসার মো. আবদুল হালিমের সঙ্গে। তারা তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য, বিশ্বকাপের বাংলাদেশের চাওয়াসহ নানা বিষয়ে সাবলিল কথা বলেন।

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ মানেই বাংলাদেশের হতাশা, প্লেট কাপ নিয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তোলা। এবার নিশ্চয় বাড়তি প্রত্যাশা আছে দলের-এমন কথায় বাংলাদেশ দলের পেসার আবদুল হালিম বলেন, ‘বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন বলতে পঞ্চম স্থান লাভ করা। তাও সাকিব ভাইদের সময়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে। এবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। আমাদের ওপর দেশবাসীর প্রত্যাশাও তাই অনেক বেশী। আমরা খুব ভালো করতে চাই। চ্যম্পিয়ন হওয়ার মত করেই খেলতে চাই। ’

নিজে পেস বোলার বলে ভালোই জানেন উপমহাদেশের উইকেটে পেস বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। তাই বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে সেই কথাটিই বলে দিলেন আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ‘দেশের উইকেট স্পিনারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। তবুও আমার লক্ষ্য থাকবে ভালো কিছু করার। ’

ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা খোঁজার জন্য তো বেশী দূর যাওয়ার দরকার নেই আবদুল হালিমের। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন মাশরাফি কিংবা রুবেল পর্যন্ত গেলেই তো হলো। আবদুল হালিমও তাই বলে দিলেন জাতীয় দলের বড় ভাইদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই আমি। ’
 
দলের সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত। শনিবার যার ব্যাট থেকে এসেছে দূর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। একদিন আগে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতালেও তা নিয়ে বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই এ তরুণের। এখনও পা মাটিতেই রাখছেন শান্ত। আগেই বলা হয়ে গেছে, বয়সটা এখনও ১৮ এর ভেতরে হলেও কথা বলাতে যে কতটা পরিপক্ক শান্ত। রোববার তার আরেকবার প্রমাণ পাওয়া গেল।

বিশ্বকাপে কি বাংলাদেশ চ্যম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবে-এমন সোজাসাপ্টা প্রশ্নে শান্ত চটপট বলে গেলেন, এক লাফে গাছে উঠা যায় না। আমরা তাই ধাপে ধাপে এগুতে চাই। এভাবে এগুলে ভালো কিছু করা সম্ভব।

ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ। তাই বাড়তি কোনো চাপ আছে কিনা দলের ওপর-এ কথার উত্তরে শান্ত বলেন, চাপের কিছু নেই, আবার চাপ নেই বললেও ভুল হবে। জাতীয় দল বিশ্বকাপে ভালো খেলেছে। আমাদের ওপরও তেমন আশা থাকবে সবার। আমরাও জাতীয় দল থেকে অনুপ্রেরণা পাই। তাই গত এক বছর ধরে যা খেলেছি তার চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই বিশ্বকাপে। ’

চট্টগ্রাম দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বলে শান্ত কিছুটা খুশি। বলেন, চট্টগ্রামের মাটিতে বেশ কিছুদিন ধরে খেলছি। তাই চট্টগ্রামের উইকেটের সঙ্গে কিছুটা পরিচিতিও হয়ে গেছে আমাদের। এর ফলে হয়তো কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাব আমরা। ’

সর্বশেষ গণমাধ্যমের সামনে আসেন দলীয় অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দীর্ঘদিন ধরে অধিনায়কের ভার সামলাচ্ছেন মিরাজ। যাকে ইতিমধ্যেই জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফির মত অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক হিসেবে ডাকতে শুরু করেছে অনেকেই।

মেহেদি হাসান মিরাজ বিশ্বকাপে আপাতত প্রথম ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন। কারণ প্রথম ম্যাচেই যে প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই মিরাজ দক্ষিণ আফ্রিকা বাধা ভালোমতন টপকাতে চান আগে। এই ম্যাচ জিতলে পরের ম্যাচগুলো ইজিলি খেলা যাবে বলেন মিরাজ।
আর দলের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা স্থির অধিনায়ক। শুধু বললেন আমরা আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চাই। এরপর বাকিটা দেখা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।