ঢাকা: সোয়াত ইউনিটের পর এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ নিরাপত্তা মহড়ায় অংশ নেয় প্রায় তিনশ সেনাসদস্য।
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন সময়ে কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনী কিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং দুষ্কৃতিকারীর উপর কিভাবে আক্রমণ করবে তারই প্রস্তুতি দেখানো হয় মহড়ায়। সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আইসিসির নিরাপত্তা পরিদর্শক শন নরিস ও বিসিবি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববাসীর আস্থা ধরে রাখা ও আয়োজক হিসেবে সফলতার মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুব বিশ্বকাপের নিরাপত্তার দায়িত্বে যুক্ত থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে বিশেষ কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলেই কেবল সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে প্রবেশ করবেন বলে জানান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান (৪৬, স্বতন্ত্র পদাতিক বিগ্রেড কমান্ডার)। তিনি বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের ডাকা হলেই প্রস্তুত থাকা টিম ঘটনাস্থলে চলে আসবে। এ জন্য সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, আমরা কোনো সময়ই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম না, এবারও নেই। যেহেতু আইসিসি একটি সিকিউরিটি প্ল্যান চেয়েছিল এবং আমাদের বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিকিউরিটির নিশ্চয়তা দিয়েছিল সে মোতাবেক আমরা কাজ করছি। যেটা আইসিসি চেয়েছিল সেভাবেই আমরা করে যাচ্ছি। আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি অতীতে যেমন বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ হয়েছে, এবারও তেমনটাই হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিকস (সোয়াত) ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তা মহড়া দেয়। বাংলাদেশ পুলিশ ও ৠাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (ৠাব) ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সোয়াত ইউনিটের সদস্যরা যুক্ত থাকবেন বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
যুব বিশ্বকাপের একাদশতম আসর শুরু হচ্ছে আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি)। তবে মিরপুরে খেলা গড়াবে ২৮ জানুয়ারি থেকে। ১৬ দলের এ বিশ্ব আসরের ম্যাচগুলো গড়াবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার এই চার শহরের আট ভেন্যুতে। মোট ১৬টি দল চার গ্রুপে লড়াই করবে এবারের আসরে। ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে আইসিসির অ্যাসোসিয়েট ও অ্যাফিলিয়েট সদস্য দেশ সাতটি। এর মধ্যে ১২টি দল ঢাকায় ও চারটি দল চট্টগ্রামে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর