ঢাকা: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩২ রানে হারিয়ে আসরের প্রথম অঘটনের জন্ম দিলো নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে নেপাল যুবাদের ২৩৯ রানের জবাবে ৪৭.১ ওভারে ২০৬ রানেই গুটিয়ে যায় কিউই যুবারা।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অখ্যাত নেপাল তরুণদের বোলিং তোপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে ছিলো রান আউটের খরা। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে দলটি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন ওপেনার গ্লেন ফিলিপস। প্রেম তামাংয়ের বলে ৫২ রান করে ফেরেন তিনি।
ফিলিপস আউট হওয়ার পর কিউই শিবিরে শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৭ রান আসে অধিনায়ক জস ফিনির ব্যাট থেকে। কিন্তু শেষ দিকে ডেলে ফিলিপসের ৪১ ও নাথান স্মিথের ২৪ রানও হারের লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারেনি কিউই তরুণদের। দলটির ইনিংসে আরেকটি দুর্ভাগ্য ছিলো রান আউট। দলের তিন ব্যাটসম্যানই রান আউটের শিকার হন।
নেপাল যুবাদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান দেবেন্দ্র সিং আরিয়ে। আর দুটি উইকেট লাভ করেন প্রেম তামাং।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় নেপাল যুবারা।
দলটিকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সানদ্বিপ সুনার ও সুনিল ধামালা। ধামালা ১৫ রান করলেও সুনার ৩৯ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন।
কিন্তু দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে মূল ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক রাজু রিজাল। ৪৮ রান করে তিনি দলকে ভালো স্কোরের ইঙ্গিত দেন। ৩৯ রান করেন আরিফ শেখ। আর শেষ দিকে কুশাল ভুরতেলের অপরাজিত ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে সম্মানজনক স্কোর গড়ে নেপাল তরুণরা।
কিউই যুবাদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান নাথান স্মিথ। এছাড়া একটি করে উইকেট দখল করেন ক্রিস্টিয়ান লিওপার্ড, আনিকেত পারিখ, রাচিন রাবিন্দ্রা ও জস ফিনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস
** ভালো সংগ্রহ নেপাল যুবাদের