কক্সবাজার শেখ কামাল একাডেমি স্টেডিয়াম থেকে: বাংলাদেশের ক্রিকেটে আর্ম বলের কথা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে মোহাম্মদ রফিকের নাম। বোলিংয়ে বাংলাদেশের এ সাবেক তারকার বড় শক্তির জায়গা ছিল আর্ম বোলিং।
বর্তমানে আরেকজন বাহাতি এসেছেন যার স্টক বোলিংয়ই হলো আর্ম বল। তিনি সালেহ আহমদ শাওন গাজী। বোলিংয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ ১৯ দলের বড় ভরসার নাম।
মঙ্গলবারের (২ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচে সেরকম এক আর্ম বোলিংয়ে বোকা বানিয়েছেন নামিবিয়ার ডেবিনকে। ম্যাচ শেষে বলেই দিয়েছেন আর্ম বোলিংয়ই তার স্টক বল।
আগেই বলে দিয়েছেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটধারী হতে চান। মঙ্গলবার নামিবিয়া ম্যাচে সে লক্ষ্যে আরও একধাপ যেন এগুলেন তিনি। স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে মাত্র দুই উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু এখানে না থেমে তার বোলিং ফিগারটা একবার দেখে আসা দরকার।
শাওন গাজী ১০ ওভার, চার মেডেন, দুই উইকেট।
এটিই প্রমাণ দেয় নামিবিয়াকে মাত্র ৬৫ রানে গুটিয়ে দিতে শাওন গাজীর প্রভাব। এর পুরস্কারসমেত হাতে উঠলো ম্যান অব দ্যা মাচের পুরস্কার।
নিয়মিত উইকেট পেয়ে আসলেও ম্যাচ শেষে জানালেন উইকেটের পাগল না। নিজের বোলিংটা করে গেলেই উইকেট এসে যায়।
শাওন বলেন, ‘আমি উইকেট ট্রাই করি না। সবসময় একটা জিনিসই চিন্তা করি, আমার বোলিংটা আমি করবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। ’
‘উইকেট তো বলে কয়ে হয় না। উইকেট এমনিই আসে। আল্লাহর রহমতে আমি বোলিং করলেই উইকেট পাই। ’
জায়গামতো বোলিং করতে পারাটাই শাওনকে এতদূর নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে শাওন গাজী বলেন, আমি জায়গামতো বোলিং করতে পারি। এটা আমার খুব ভালো দিক।
আর্ম বল দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন বলে আমার বল এমনিতেই একটু বেশি উইকেটের ভেতরে যায়। এটা ন্যাচারাল। আর্ম বলই আমার স্টক ডেলিভারি। ’
বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত এ পারফরমার আপাতত নিজের বোলিং নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করতে অনিচ্ছুক। তিনি বলেন, ‘বোলিংয়ে নতুন কোনো কিছু করার চিন্তা আপাতত নেই। ’
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পাওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বাসিত এ তরুণ। হাসির ছলে বলে দিলেন, ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হলে কার না ভালো লাগে। ’
নেপালকে নিয়ে তেমন ভাবছে না শাওন। তার কথা সে যদি নিজের বোলিং করতে পারে নেপালও কোনো সমস্যা হবে না। ওইদিনও খুব ভালো বল করবেন বলে দারুণ আশাবাদী শাওন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি