মিরপুর থেকে: আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতেও মাঠে দেখা যায়নি তেমন দর্শক। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে কিছু দর্শক মিললেও কক্সাবাজারে পরের দুই ম্যাচে আমন্ত্রিত অতিথিরা ছাড়া খেলা দেখতে পারেন নি সাধারণ দর্শকরা।
মিরপুরের চিত্র অবশ্য পুরো ভিন্ন। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় ম্যাচ শুরু হতেই পূর্ব গ্যালারিতে বেশ কিছু দশর্কের ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ ধ্বনি। সময়ের সঙ্গে মাঠে দর্শক উপস্থিতি বাড়ে কয়েকগুন। পূর্ব গ্যালারি, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, উত্তর গ্যালারি ও ভিআইপি স্ট্যান্ড মিলে প্রায় হাজার সাতেক দর্শক মাঠে চোখ রেখে দেখেছেন জাকির-মিরাজদের অনিন্দ্য সুন্দর ব্যাটিং। জুনিয়র টাইগারদের উৎসাহ যোগাতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন ক্রিকেটভক্তরা।
দর্শকদের দেওয়া উৎসাহ প্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন মিরাজরাও। আসলে এত দর্শকের সামনে কখনোই খেলা হয়নি যুবদলের ক্রিকেটারদের। অনেক দর্শকের সামনে খেলতে পেরে নিজের ভালোলাগার কথা ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ অ-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, ‘আসলে এত দর্শকের সামনে কখনো খেলা হয়নি। খুব ভালো লেগেছে, অনেক দর্শক ছিল। তারা আমাদের খেলা দেখেছে, সাপোর্ট করেছে। মনের ভেতরে একট অনুপ্রেরণা এসেছে আমাদের ভালো খেলতে হবে। ’
ভালো খেলেই বাংলাদেশকে জয় উপহার দিয়েছেন মিরাজরা। নেপালের বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সামনের দুটি ম্যাচ (সেমিফাইনাল ও ফাইনাল) জিতলেই বাংলাদেশেই রয়ে যাবে স্বপ্নের শিরোপা। স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হতে নিশ্চয়ই পরের ম্যাচে মাঠে আসতে চাইবেন দর্শকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
এসকে/আরএম