ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলেও বীরেন্দর শেবাগের ব্যাটে এতটুকু মরিচা ধরেনি। শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখল শেবাগের চার-ছক্কার বৃষ্টি।
জেমিনি এরাবিয়ান্সও মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (এমসিএল) টানা চার ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল। জেমিনির ২২৪ রানের জবাবে সাগিত্তারিয়াসও কম যায়নি। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানের আক্ষেপে পুড়ে তারা।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২১২ রান করে সাগিত্তারিয়াস। সর্বোচ্চ ৫১ রান (৩২ বলে) আসে ইমরান ফরহাতের ব্যাট থেকে। ২২ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইয়াসির হামিদ। এছাড়া মাহেলা জয়াবর্ধনে ১১ বলে ২০ ও ইয়াসির আরাফাত ১৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন। অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্ট রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন।
জেমিনির হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন শ্রীলঙ্কান স্পিন কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন। কাইল মিলস নেন দু’টি। জাস্টিন ক্যাম্প, পল হ্যারিস ও সাকলাইন মুস্তাক একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সাগিত্তারিয়াস বোলারদের উপর চড়াও হন জেমিনি অধিনায়ক শেবাগ। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত তার ব্যাটে তান্ডব চলে। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করার পর সেঞ্চুরি পূরণ করতে খেলেন আরো ২৩ বল। শেবাগের ১৩৪ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ১১টি ছক্কার মার।
কুমার সাঙ্গাকারাও (৩৩ বলে ৫১) ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ওপেনার জ্যাক রুডলফের ব্যাটে থেকে আসে ২৭ রান। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট হারিয়ে বিশাল স্কোর গড়ে জেমিনি।
সাগিত্তারিয়াসের হয়ে একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নেন ক্যারিবিয়ান ক্রিশমার সান্তোকি। ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর চার বলে চারটি উইকেট তুলে নেন ৩১ বছর বয়সী এ বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার।
অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বীরেন্দর শেবাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরএম