ঢাকা: আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ৯টায়।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের কাছে তিন উইকেটে হারলে ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। স্বপ্নযাত্রা থমকে যায় মেহেদি হাসান মিরাজের দলের। অন্যদিকে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে হারে লঙ্কানরা।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিকেও বেশ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। কারণ, এর আগের কোনো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যুব দল সেমিফাইনাল অব্দি পৌঁছাতে পারেনি।
২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে মুশফিক-সাকিব-তামিমরা পঞ্চম হয়েছিলেন। দীর্ঘসময় ধরে এটিই ছিল বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। কিন্তু ইতিহাসের শেকল ভেঙে সেমি পর্যন্ত তো গিয়েছে মেহেদির দল। তাইতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের কাছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সেমিফাইনাল শেষে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় স্থান পাবার ম্যাচটিকে গুরুত্ব দেয়ার কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন মিরাজ, ‘তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে জিতলে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি হবে। দশটা টেস্ট দলের থেকে যদি আমরা তিনে থাকতে পারি তাহলে আমাদেরকে শীর্ষ পাঁচটি দলের একটি ধরা হবে। ’
‘আমার কাছে মনে হয় চ্যাম্পিয়ন অথবা রানার্স-আপ হওয়াটা বড় বিষয় না। আমরা যে টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে শীর্ষ তিন কিংবা পাঁচে আছি, এটা অনেক বড় বিষয়’-যোগ করেন মিরাজ।
২০১৬ সালের বিশ্বকাপে যুবাদের পারফরম্যান্স ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাফল্যের প্রেরণা হয়ে থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন মিরাজ, ‘মুশফিক ভাইরা (২০০৬ সালে) পাঁচ নম্বর হয়েছে। আমরা যদি তিন-চার নম্বর হই, তাহলে পরের প্রজন্ম চিন্তা করবে, আমাদের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ হতে হবে। ’
মিরাজদের কীর্তিকে ছাপিয়ে অদূরেই হয়তো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। তখন মিরাজরা বলতে পারবেন আমরাই তো স্বপ্নটা বড় করেছিলাম তোমাদের! ততদিন অবশ্য ফাইনাল খেলতে না পারার আক্ষেপটা বয়ে বেড়াতে হবে মিরাজ-শান্ত-শাওনদের!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর