মিরপুর থেকে: উইকেটের পেছন দিয়ে কেমু পল জয়সূচক রানটি নিতেই ভোঁ-দৌড়ে মাঠে ছুটে এলেন সতীর্থরা। তাদের চোখে-মুখে যেন রাজ্য জয়ের তৃপ্তি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নেচে-গেয়ে বিশ্ব জয়ের আনন্দ উপভোগে মাতলেন ব্রায়ান লারার উত্তরসূরিরা।
২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ক্রিস গেইল নেচেছিলেন ‘গ্যাংনাম’ নৃত্য। আর স্পিঙ্গার, পলরা ক্যামেরার সামনেই নাচলেন ক্যারিবীয় নৃত্যই, তবে অন্য এক ঢঙে।
ভারত জিতলে ইতিহাসে লেখা হতো তাদের নাম। সবচেয়ে বেশি চারবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড গড়া হতো তাদের। ইতিহাস গড়ার খুব কাছ থেকে ঘুরে আসা ভারতীয় যুবাদের অনেকেই ম্যাচ হারের পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি।
১৪৬ রানের সহজ লক্ষ্যটা কঠিন গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কঠিন করে দিয়েছিলেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার মায়াঙ্ক ডেগার। তবে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ এনে দেন কেমু পল ও কার্টি।
কার্টি ৫২ ও পল ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ডেগার।
এর আগে টুর্নামেন্টের ফেভারিট ভারতকে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে দিয়ে ম্যাচ জয়ের মঞ্চ আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তরতাজা ঘাসের উইকেটে টস জিতে বোলিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ারকে। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফ। নতুন বলে দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে ২৭ রান হতেই তুলে নেন তিন উইকেট।
পরে বিপর্যস্ত ভারতীয় টপঅর্ডারকে আরও দমিয়ে দেন রায়ান জন, শেমার হোল্ডাররা। ক্যারিবিয়ানদের বোলিংয়ের সামনে লড়েছেন কেবল সরফরাজ খান। সবুজ ঘাসের উইকেটে রীতিমতো সংগ্রাম চালিয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৩৮ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন জন, ৩৯ রানে দিয়ে জোসেফ নেন তিন উইকেট। কিমো পল দুটি আর হোল্ডার-স্প্রিঙ্গার নেন একটি করে উইকেট। ঘাসের উইকেটে কোনো স্পিনারকে আক্রমণেই আনেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এসকে/আরএম